“নির্বাচনে যদি কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাব থাকে, তাহলে তথাকথিত বড় দলগুলো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়।”
Published : 12 Apr 2025, 10:13 PM
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংবিধান সংস্কারে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে জাকের পার্টি।
শনিবার সংলাপ শেষে দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার সংবাদিকদের বলেন, বড় সংস্কারের বিষয়গুলো গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হওয়া ‘উচিত’।
জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাকের পার্টি সংলাপে ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজমুদার, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে সংলাপ করেছে কমিশন। বিকালে জাকের পার্টির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ পর্যন্ত আটটি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে।
সংলাপ শেষে জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, নির্বাচনে যদি কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাব থাকে তাহলে তথাকথিত বড় দলগুলো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।
“সেই নির্বাচন অর্থহীন হয়ে যাবে। নির্বাচনে কালো টাকা না থাকলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাহলে প্রশাসন কারও কাছে বিক্রি না হয়ে নিরপেক্ষ থাকবে।”
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলে অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলেও মনে করে জাকের পার্টি।
বৈঠকে দলটির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, রাজনৈতিক উপদেষ্টা এজাজুর রসুল, অতিরিক্ত মহাসচিব মুরাদ হোসেন জামাল, স্থায়ী কমিটির সদস্য কায়সার হামিদ, মহিলা জাকের ফ্রন্টের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নেছা জামান রেণু।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে জাকের পার্টি ৯৮টিতে একমত, ৪৭টিতে আংশিক একমত ও বাকী ২১টির বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হওয়ার কথা বলেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে।
প্রথম ধাপের সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানতে চেয়ে স্প্রেডশিট আকারে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
শনিবার পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।