শিক্ষকদের একটি অংশ শনিবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছেন।
Published : 12 May 2024, 08:06 PM
গরমের কারণে ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শনিবার ক্লাস চালু রাখা থেকে সরে আসতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত অপেক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি যে, আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা হয়ত বা আমাদের কন্টিনিউ করতে হবে না।”
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নয় দিনের অনির্ধারিত ছুটির পর সপ্তাহে দুদিনের পরিবর্তে একদিনের ছুটিতে ফিরে আসে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো।
শিখন ঘাটতি পূরণ করতে করতে শুধু শুক্রবার ছুটি রেখে গত দুই শনিবারেও পাঠদান করা হয় বিদ্যালয়ে।
শনিবার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কতদিন চলবে, এমন প্রশ্নে রোববার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের বর্তমান কারিকুলামের একটা দিক হচ্ছে, শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজটা করার জন্য।
“সেক্ষেত্রে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবার বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। সেটা আমরা যেহেতু প্রায় নয়টি কর্মদিবস আমরা পাইনি, সুতরাং আমরা সেটা চেষ্টা করছি শনিবার আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মদিবসগুলো আমরা যেন পাই।”
এটি ‘স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই চাই, শিক্ষকদের বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
“এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তারা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে, তাদেরকে প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান করার ক্ষেত্রে, আমরা বেশি সুফল অর্জন করব, তা কিন্তু নয়। এটা সাময়িক একটা বিষয়।”
চলতি বছর রোজার ১০ দিন প্রাথমিক ও ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার। বিষয়টি আদালতে গড়ালে উচ্চ আদালত স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ দেয়, পরে আপিল বিভাগের রায়ে রোজা স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
শিক্ষামন্ত্রী নওফেল তখনই শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ঈদের ছুটির পর তীব্র গরমের কারণে গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছিল সরকার। এক সপ্তাহের সেই ছুটির পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ৪ মে থেকে শনিবারও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। বৃহস্পতিবার সেটিই আবার মনে করিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষকদের একটি অংশ শনিবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে সরকার প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আরও পড়ুন-
শনিবার ক্লাসে ফিরছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক রোববার
রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান