বিদেশে আরাভ খাঁন নামে থাকা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশে অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আট বছর আগের এই মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে চাইলে বিচারক তাতে সায় দিয়ে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন এবং যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
আরাভকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার বিচার চলছে।
পিপি এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, “এদিন আদালতে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। ফলে আমরা রায় এখনই ঘোষণা চাইতে পারতাম। কিন্তু আসামি যদি চায়, ফিরে এসে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন- সেই সুযোগ দিতেই আদালত আত্মপক্ষ সমর্থেনর দিন রেখেছেন।”
এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে ১০ জন।
এর আগে গত ২১ মার্চ পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আরাভসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
অস্ত্র মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি রবিউল ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীর মগবাজারের বাসায় যান। পরে গুলিভর্তি একটি রিভলবারসহ ওই বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
তখন ডিবি মহানগর পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু রমনা থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করেন।
একই বছরের ১ মার্চ আসামি রবিউলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সারোয়ার। ওই বছরের ১০ মে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ আসে।
এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিনে মুক্ত হন রবিউল। এরপর তিনি পালিয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
পুলিশ খুনের আসামি হয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা রবিউলের সন্ধান সম্প্রতি পাওয়া যায় দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের সময়।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ বিনোদন জগতের তারকারা সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর পুলিশ জানায়,ওই জুয়েলার্সের মালিক আরাভই রবিউল।