মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়েছে।
Published : 05 Dec 2024, 11:07 PM
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। তবে বিষয়টি জানা যায় বৃহস্পতিবার।
তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠিয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, “আসামি প্রিন্স মামুন ফেইসবুক আইডিসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অন্যদিকে মামলার বাদী লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।
“পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করেন মামুন।”
লায়লা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন ২০২৩ সালের ৯ জুন। পরের দিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে। এরপর গত ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর গত ১ জুলাই জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তিন বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বলেন, ঢাকায় থাকার মত তার কোনো বাসা নেই। তাই তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। এরপর মামুন ও তার বাবা-মা প্রায়ই সেই বাসায় এসে থাকতেন।
এজাহারে বলা হয়, মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। চলতি বছরের ১৪ মার্চ তাকে ধর্ষণও করেন।
ধর্ষণের মামলায় কারাগারে টিকটকার প্রিন্স মামুন
লায়লার মামলায় 'প্রিন্স' মামুনের জামিন