তিন বছর ধরে একসঙ্গে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছেন লায়লা ও মামুন। সম্প্রতি লায়লার মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন এই তরুণ।
Published : 01 Jul 2024, 11:22 PM
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ‘প্রিন্স’মামুনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় মামলার বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যিনি গত তিন বছর ধরে মামুনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছেন, একসঙ্গে তারা অসংখ্য টিকটক ভিডিও বানিয়েছেন।
এদিন লায়লার আইনজীবী জামুনের জামিনের বিরোধিতা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস পাল বলেন, হাকিম আদালতের জামিন নাকচের আদেশের বিরুদ্ধে এই আদালতে আসে আসামিপক্ষ।
গত ৯ জুন মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন লায়লা। পরে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
১১ জুন মামুনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এএসআই মুহাম্মদ শাহজাহান। আসামিপক্ষে আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
তিন পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় লায়লা লিখেছেন, তিন বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বলেন, ঢাকায় থাকার মত তার কোনো বাসা নেই। তাই তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। এরপর মামুন ও তার বাবা-মা প্রায়ই সেই বাসায় এসে থাকতেন।
মামলায় লায়লা লেখেন, মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। চলতি বছরের ১৪ মার্চ তাকে ধর্ষণও করেন।