আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতায় ঘটনায় রাজধানীতে মোট ১১৭টি মামলা হয়েছে, ওই সব মামলায় ১ হাজার ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।“
Published : 08 Nov 2023, 05:12 PM
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় শতাধিক মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় দেড় হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতায় ঘটনায় রাজধানীতে মোট ১১৭টি মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় ১ হাজার ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় একদিনেই গ্রেপ্তার হয়েছিল ৬৯৬ জন। এরপর ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জন, ৩০ অক্টোবর ১৫৮ জন এবং ৩১ অক্টোবর ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া ১ নভেম্বর ৯৬ জন, ২ নভেম্বর ৬০ জন, ৩ নভেম্বর ৫৮ জন, ৪ নভেম্বর ৩৭ জন, ৫ নভেম্বর ৫২ জন, ৬ নভেম্বর ৮২জন, ৭ নভেম্বর ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।
২৮ অক্টোবর দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হয়, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল ডাকে বিএনপি ও তাদের মিত্র দল জামায়ত। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারা দেশে অবরোধ করে তারা। সেই অবরোধ শেষে ৫ ও ৬ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে দলটি। মাঝে একদিন মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে ফের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
হরতাল-অবরোধের মধ্যে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার জন্য সাধারণত সকাল-সন্ধ্যা এই দুই সময়কে বেছে নেয় দুর্বৃত্তরা।