“আমি বুঝাচ্ছি সব হত্যার তদন্ত হতে হবে, সেটাই মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চাওয়া। কেননা, কোনো হত্যাকাণ্ডকে আমরা দায়মুক্তি দিতে পারি না,” বলেন তিনি।
Published : 30 Oct 2024, 11:55 PM
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের উত্তরণের যাত্রায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে মানবাধিকারকে কেন্দ্রে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক।
ঢাকায় ব্যস্ততম দুদিনের সফরের শেষ প্রান্তে বুধবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মানবাধিকারকে কম্পাস হিসেবে ধরে পরিবর্তনের দমকা হাওয়াকে কাজে লাগানো ও চালিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানুষের প্রত্যাশার কেন্দ্রে ‘মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ থাকার কথা তুলে ধরে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের আকাঙ্খা যাতে পূর্ণ হয়, সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
পালাবদলের জটিল সময়ে অনেক প্রত্যাশা থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক, উন্নয়ন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনের শাসনসহ সব খাতেই বিশাল চ্যালেঞ্জের উত্তরাধিকার হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সময়টা খুবই দামী কিন্তু দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে লাগে সময়।
“আগামী মাসগুলো সহজ হবে না, কিন্তু ছাত্র বিক্ষোভের প্রেরণা ও স্থায়ী পরিবর্তনের গতিবেগকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে। মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দরকার সাহস ও শক্তি, তবে এটা আস্থা তৈরি করবে এবং পুরোনো বিভেদ নিরসনে সহায়ক হবে।”
জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানে ঘটা অপরাধের বিচারের ওপর গুরুত্ব দিলেও সেটা করতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের মানবাধিকারও যেন সুরক্ষিত হয়, সেটির গুরুত্বও তুলে ধরেন ফলকার টুর্ক।
“আওয়ামী লীগের সদস্য বা সমর্থক হওয়াসহ কেবল পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা না হওয়াটাও মৌলিক বিষয়।
“যথাযথ তদন্ত ছাড়াই অভিযোগ আনার বিষয়ে উদ্বেগ আছে, যা আনা হয়েছে সাংবাদিকদের একটি বড় সংখ্যার বিরুদ্ধেও। অতীত কোনো ধরনের পুনরাবৃত্তি না হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মিথ্যা মামলার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক কমিটি করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। যথাযথ প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার টুর্ক।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, বিভিন্ন সংস্কারম কমিশনের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন তিনি।
টানা এসব বৈঠকের পর বুধবার বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।
এর আগে আন্দোলনের সময় আহতদের দেখতে বুধবার পঙ্গু হাসপাতালে যান তিনি।
আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার পতন আন্দোলনের আগে-পরে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি ঘুরে দেখার পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ফলকার টুর্ক।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ম্যান্ডেলাকে স্মরণ
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিগত সরকারের সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আইকন নেলসন ম্যান্ডেলার ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে নিষিদ্ধের কথা স্মরণ করান জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
অনেক সময় বিরাধীদের দমনের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সন্ত্রাস আইন ও তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ নিয়ে অনেক আলাপআলোচনা আছে। আমরা এর পরিণাম দেখেছি।
“কেননা, সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমনভাবে দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রায়শ ভিন্নমত পোষণকারীদের, রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যান্ডেলার ইতিহাস স্মরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যিনি পুরো দেশের ক্ষত সারানোর কাজ করেছিলেন, তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসন সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করত।
“অতীতে আমরা এখানেও দেখেছি, সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্নমত ও আলোচনাকে দমনের জন্য। সুতরাং সন্ত্রাসবাদকে কীভাবে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে ব্যবহার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে এই দেশ থেকেও শিক্ষা নেওয়ার আছে।”
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নে হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশগ্রহণের স্বাধীনতার বিষয় স্মরণ করিয়ে দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার।
তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে অতীতের ক্ষত সারানোর প্রক্রিয়া সবসময় নিজস্ব হতে হবে এবং জাতীয়ভাবে এর মালিকানা থাকতে হবে। তবে জাতীয় নিরাময়ের ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার, সত্যটা বলা, স্মৃতি ধারণ করে রাখা এবং অতীতের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা।
“অতীতে পুনরাবৃত্তি বন্ধ মানে হচ্ছে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয় যখন আসবে, তাহলে আপনি মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট বিধিবিধান দ্বারা চালিত হবেন। মানবাধিকার আইন এক্ষেত্রে খুবই স্পষ্ট। এটা সমাবেশের স্বাধীনতা, সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের স্বাধীনতার প্রচার করে। মানবাধিকার আইনে কিছু বিধিনিষেধ হয়ত আছে, তবে (স্বাধীনতার) মাত্রাটা বেশ উঁচুতে অবস্থান করে।”
ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশ যখন জাতীয় ক্ষত সারানোর কঠিন সময় ও পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন এমন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে মানবাধিকার হবে কম্পাস।
‘কোনো হত্যার দায়মুক্তি দিতে পারি না’
সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধিতা থেকে সরকার পতন আন্দোলনের সময় পুলিশ সদস্যদের নিহতের ঘটনায় ‘দায়মুক্তি’ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, কোনো হত্যাকাণ্ড হলে তা তদন্ত করা প্রয়োজন, এটা খুবই সুস্পষ্ট কথা। আমি বুঝাচ্ছি সব হত্যার তদন্ত হতে হবে, সেটাই মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চাওয়া। কেননা, কোনো হত্যাকাণ্ডকে আমরা দায়মুক্তি দিতে পারি না।”
ঢালাও মামলার বিষয়কে ‘স্বীকার’ এবং এক্ষেত্রে কমিটি করাকে সাধুবাদ জানিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “অতীতের ধারা যেন আমরা পুনরাবৃত্তি না করি, বিচার যেন ঠিকমত হয়। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে আনতে হবে, যারা অপরাধটা করেছে। আইনের সুষ্ঠু যে প্রক্রিয়া আছে, আশা করি এই কমিশন তা নিশ্চিত করবে। তাদের এই কাজকে আমি স্বাগত জানাই।”
মব জাস্টিসের নামে পতিত সরকারের সমর্থকদের ‘হত্যার’ বিষয়কে কীভাবে দেখেন, এমন প্রশ্নে টুর্ক বলেন, সহিংসতা যেই করুক না কেন, তা অন্য একজন মানুষকে আঘাত করে। অবশ্যই এটার তদন্ত হতে হবে।
“সুতরাং কোনোভাবে কোনো মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্যই আইনের শাসনের বিষয়টি আসে এবং সে অনুযায়ী স্পষ্ট সাড়া দেওয়া হয়। কারণ, পৃথিবীর বহু পরিস্থিতিতে আমরা দেখেছি, সহিংসতা ডেকে আনে আরও সহিংসতা।”
তবে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনি যোগ করেন, “হ্যাঁ, যখন পরিবর্তনের কথা যখন আসে, আমি এটা ভিন্ন রকম বাংলাদেশ আবিষ্কার করছি এবং আমি এজন্য খুবই কৃতজ্ঞ।”
সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল করছে বলে এক প্রশ্নের উত্তরে জানান ফলকার টুর্ক। এক্ষেত্রে ‘অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর সুযোগ থাকার কথা তুলে ধরে সঠিক তদন্তের উপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি যেটা আগেও বলেছি, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা খুবই মুখ্য বিষয় এবং এটা মানবাধিকার ফ্রেমওয়ার্কেরই অংশ। এই ধরনের ঘটনার খবর প্রকাশ হলে তার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।
“পাশাপাশি আরেকটা বিষয় মোকাবেলা করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে খুবই বিশৃঙ্খল সময়ে অনেক মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য ছড়ায়, যার সত্যটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে অপরাধীদের শনাক্ত এবং বিচারের আওতায় আনা যায়।”
আইসিটি আইনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায়ের পরামর্শ
বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনেকালে সংঘঠিত গণহত্যার বিচার সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে আইনটির সংশোধনের প্রয়োজনের কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
তিনি বলেন, ”মানবাধিকার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন এটা খুবই স্পষ্ট। আপনি যদি আইসিটির আইন প্রণয়ন ও আদালতের গঠনের দিকে দেখেন, তাহলে সেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার মত কিছু বিষয় আছে।
”এবং সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি সঠিক মেনে চলা, উভয়ক্ষেত্রেই এগুলোকে তুলে ধরতে হবে। এটার সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা এ ক্ষেত্রে খোলামনে আছেন।”
ফলকার টুর্ক বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাস ক্ষমতায় থাকলেও প্রত্যাশা অনেক বেশি। সুতরাং তাদেরকে সহায়তা আমাদের দিতে হবে, পাশাপাশি ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, কিন্তু আইন সংস্কার খুবই জটিল বিষয়।”
মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় খোলা প্রসঙ্গে
ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় খোলার প্রস্তাব জাতিসংঘ দিলেও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার বিষয়ে সরকারের দুই উপদেষ্টা দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।
ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, ওই কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়ার কথা বুধবার বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে যেসব দেশে মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া।
পশ্চিমা দেশের পরিবর্তে বাংলাদেশের মত দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় খোলার আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সংস্থার প্রধান টুর্কের কাছে।
পালাবদলের সময়ে প্রয়োজনে এমন কার্যালয় খোলার কথা এবং অর্থায়নের অভাবের কথা উত্তরে বলে তিনি।
“পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কোনো দেশ গেলে আমরা তাদেরকে সহায়তা করতে পারি, যাতে মানবাধিকারও সমাজের নতুন আবরণের অংশ হয়। পৃথিবীর অনেক দেশের উদাহরণ আছে, এটা কার্যকরী ব্যবস্থা হতে পারে।”
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় নানাবিধ সহায়তা চাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা বলেছে, আপনি কি আমাদেরকে এই এই ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারেন? এটা সম্পর্কে আপনি কী ভাবেন? বিচার বিভাগ সংস্কার আপনি কীভাবে করতে পারেন? এই আইন সংস্কারে কি করে সাহায্য করতে পারেন?
“সুতরাং এক্ষেত্রে সহায়তার বেশ প্রয়োজন রয়েছে। আমার কাজ হচ্ছে, কোনো দেশ এমন সহায়তা চাইলে তা দেওয়া।”
মানবাধিকার নিয়েও ‘অপতথ্য’ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কেউ কেউ এটাকে পশ্চিমা ধারণা হিসেবে দেখে থাকে। কেউ কেবল এটাকে নাগরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে দেখে থাকে। কেউ মনে করে, এটা হয়ত চাপিয়ে দেওয়া।
“শিক্ষার্থীরা যা বলেছে এবং যার জন্য বজ্রকণ্ঠ উচ্চারণ করেছে, তার মূলেও মানবাধিকার ছিল। এটা এমন একটা বিষয়, যা বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন। এ কারণে সার্বজনীন মানবাধিকার।”
ফলকার টুর্ক বলেন, ”পশ্চিমা বিশ্বসহ প্রায় ১০০ দেশে আমার উপস্থিতি আছে। ব্রাসেলসে আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, নিউ ইয়র্কে তো আছেই।
“সমস্যা হচ্ছে, আমি পর্যাপ্ত অর্থায়ন পাই না। আমি চাই যেন সবখানে কার্যালয় থাকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি অর্থ পাই না। ফলে আমাকে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হয়। আমি অগ্রাধিকার ঠিক করি, সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতি প্রায়শ কঠিন। সহায়তা দিতে পারে এমন সবার কাছ থেকে তাদের সে রকমটা প্রয়োজন। সেই প্রস্তাব আমি এখানকার কর্তৃপক্ষ, সমাজকে দিয়েছি। এটার অনেক দাবিও এখানকার আছে। আমার দায়িত্বও তাই।”
ডিসেম্বরের শুরুতে প্রতিবেদন দেবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন, আশা ফলকার