“আশা করি, রায়ে আমি ন্যায়বিচার পাব। কারণ ফ্যাসিবাদের পতন ও বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে।”
Published : 23 Jan 2025, 03:35 PM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাত বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের আপিলের রায় হবে ১০ ফেব্রুয়ারি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মাহমুদুর রহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন বিচারক।
মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন।
শুনানির পর মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আশা করি, রায়ে আমি ন্যায়বিচার পাব। কারণ ফ্যাসিবাদের পতন ও বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে। ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদের উত্থানের পক্ষে বিচার বিভাগের ভুমিকা রয়েছে। এটা বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে।
“পরবর্তীতে বিচার বিভাগের সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদের উত্থান ঠেকানো গেছে। আমি আশাবাদী, আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব।”
২০২৩ সালের অগাস্টে এ মামলার রায়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাকি তিনজন হলেন– জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
জয়ের গোপন তথ্যের জন্য এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে আট বছর আগে সিজারকে সাজা দেয় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। এরপর ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে থেকে মামলা হওয়ার সময় পর্যন্ত জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র’ করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে এসে সাক্ষ্য দেন।
২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান দুজনই এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তাদের অনুপস্থিতিতেই এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে ফিরে ৩ অক্টোবর আপিলের শর্তে জামিন পান মাহমুদুর রহমান। পরে গত ১২ ডিসেম্বর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
শফিক রেহমানও আপিল করে জামিন পেয়েছেন। তার আপিল এখনো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
পুরনো খবর
জয়কে 'হত্যার ষড়যন্ত্র': শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানের ৭ বছরের সাজা