বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে কয়েক মাসের পুরনো তথ্য থাকে বলে দাবি অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনটির।
Published : 20 May 2024, 08:51 PM
বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সাংবাদিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান করেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
সোমবার রাজধানীর পল্টনে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনটির সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, "সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলে আসছে। অথচ ৫৩ বছরের প্রথা ভেঙ্গে হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যা সরকারের অবস্থানের বিপরীত।"
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সব ধরনের তথ্য থাকে। তাদের তথ্য প্রকাশের পদ্ধতিটি অনেক সমৃদ্ধ।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে কয়েক মাসের পুরনো তথ্য থাকে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে না। এমনকি আমদানি-রপ্তানির তথ্য বছরখানেকের পুরনো। আগে এটি মাসভিত্তিক হালনাগাদ করা হলেও তা বন্ধ রয়েছে বলে দাবি তার।
গত ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অলিখিতভাবে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইআরএফের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে এবং দু’দফা চিঠিসহ বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় দু’মাস হলেও সমস্যার সমাধান না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ইআরএফের সভাপতি বলেন, "হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় নানা গুজব ডাল পালা মেলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে কিনা সে প্রশ্ন উঠছে।"
হঠাৎ করে তথ্য প্রবাহ বন্ধ করার ফলে ’ভুল তথ্য, অর্ধ সত্য’ তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব ভবনের নিচতলায় অভ্যর্থনা বিভাগে রাখা রেজিস্ট্রার বইয়ে পরিচয় লিখে সই করে বিশেষ ‘পাস’ নিয়ে ভেতরে যেতে পারতেন সংবাদকর্মীরা। তবে গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে এই পাস ইস্যু করা বন্ধ রয়েছে গভর্নরের নির্দেশে। এতে সাংবাদিকরা ভেতরে যেতে পারছেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সিদ্ধান্ত বদল করেনি।