Published : 05 May 2025, 06:18 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশনা স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে রিটকারীপক্ষের আইনজীবী মো. জসিমউদ্দিন জানিয়েছেন।
গত ১০ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসকল মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমানকসহ (ভিকটিমবাদীপ্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিওঅডিওস্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. জসিমউদ্দিন।
এ বিষয়ে শুনানি করে গত ২৩ এপ্রিল ডিএমপির আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয় বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।
সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই নির্দেশনা কেন ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করে আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিটকারী আইনজীবী জসিমউদ্দিনের দাবি ছিল, ডিএমপির ওই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ফৌজদারি কার্যবিধির লংঘন।
“সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে এমন বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় থাকা অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক জারি করা এমন আদেশ অবৈধ।”
পুরনো খবর
গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি: ডিএমপির নির্দেশনা হাই কোর্টে স্থগিত
গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ বৈধ? শুনানি বুধবার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে 'ঊর্ধ্বতনের অনুমতি'