রিটকারী আইনজীবী জসিমউদ্দিন বলেন, “এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ফৌজদারি কার্যবিধির লংঘন।”
Published : 21 Apr 2025, 12:01 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে যে রিট আবেদন হয়েছে, তার ওপর শুনানি হবে বুধবার।
রিটকারী পক্ষের কৌঁসুলির আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করে দিয়েছে।
রিট আবেদনটি এদিন হাই কোর্টের কার্যতালিকার ১৯৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। বিষয়টি ‘জনগুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরে শুনানি দ্রুত করার আবেদন জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। পরে আদালত বুধবার শুনানির দিন রাখে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিমউদ্দিন গত রোববার এ রিট আবেদন করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের জারি করা ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে এ রিট মামলায়।
গত ১০ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসকল মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমানকসহ (ভিকটিমবাদীপ্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিওঅডিওস্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
রিটকারী আইনজীবী জসিমউদ্দিন বলেন, “এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ফৌজদারি কার্যবিধির লংঘন। সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে এমন বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় থাকা অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক জারি করা এমন আদেশ অবৈধ।”
তিনি বলেন, “কোনো ফৌজদারি মামলা হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি নির্দোষ হন, তাহলে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিধান সিআরপিসিতে রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আদেশ বিদ্যমান আইনকে পাশ কাটিয়ে করা হয়েছে। যা করার কোনো সুযোগ নাই।”
পুরনো খবর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে 'ঊর্ধ্বতনের অনুমতি'