“যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।"
Published : 18 Feb 2025, 12:28 PM
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে ‘সহানুভূতি’ থাকলেও আদালতে মামলা চলায় প্রশাসনিক কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ এখন নেই।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের একটি অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসাবে তারা যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ আমরা মনে করছি আমরা আইনসম্মতভাবেই করেছি।”
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করে হাই কোর্ট। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশও দেয়।
সেদিন রাত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ইতোমধ্যে আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সে প্রসঙ্গ ধরে উপদেষ্টা বলেন, "আদালত থেকে একটি রায় হয়েছে, যেটাতে উনারা ক্ষুব্ধ, আমরা আপিল করেছি। যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।"
তিনি বলেন, "আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসাবে তারা যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। "
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ বই স্কুলে পৌঁছে গেছে। ‘এ মাসের মধ্যেই’ স্কুলে স্কুলে সব বই পৌঁছে যাবে।
ডিসি সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে তিনি বলেন, "আমরা ডিসিদের বক্তব্য শুনেছি এবং আমরা কী করছি, কী করতে যাচ্ছি, সে বিষয়ে তাদের অবহিত করেছি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে ডিসিরা রয়েছেন।
“নির্মাণ কাজ যেন ঠিকমত হয় সে বিষয়ে বলেছি। অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো নিবন্ধিত হওয়া দরকার, অনেকগুলো নিবন্ধিত নয়। সেগুলোর নিবন্ধনের উপর আমরা জোর দিয়েছি।"
পুরনো খবর
কবে নাগাদ বই দেওয়া শেষ হবে বলতে পারছেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষক নিয়োগ: দ্রুত আপিল নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান সাকির