'আকবর হজ গ্রুপ বাংলাদেশ' ও 'আকবর ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল' এর কারণে হজ যাত্রীরা ‘বড় ধরনের প্রতারণা’র শিকার হতে পারে বলে মনে করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
Published : 08 Dec 2024, 10:53 PM
ফেইসবুক পেইজে হজযাত্রীকে সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়ায় লাইসেন্সবিহীন দুই এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে 'আকবর হজ গ্রুপ বাংলাদেশ' ও 'আকবর ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল' এই কাজ করছে।
তারা বিজ্ঞাপন ও ভিডিও প্রচারের করে নিরীহ হজযাত্রীদের প্রতারিত করছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২’ অনুসারে একাধিক এজেন্সির একত্রিত হয়ে ‘হজ গ্রুপ’ নামে কোনো উদ্যোগ গঠনের সুযোগ নেই।
বৈধ হজ এজেন্সির তালিকাভুক্ত না থেকেও 'আকবর হজ গ্রুপ বাংলাদেশ' এবং 'আকবর ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল' ৫ লাখ ৩ হাজার টাকায় হারাম শরীফ হতে ৭০০ মিটার দূরে হোটেলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হজযাত্রী সংগ্রহের জন্য প্রচার চালাচ্ছে।
পুরনো খবর:
অনিশ্চয়তা কাটল আরও ৩৬৪ হজযাত্রীর, প্রতারণার দায়ে নিষিদ্ধ এক মোনাজ্জেম
৩৬৪ জনের হজযাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল
চূড়ান্ত নিবন্ধন করলে ২০ হাজার টাকা ‘ক্যাশব্যাক' এবং উন্নতমানের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে তারা।
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে এই গ্রুপে একাধিক হজ এজেন্সি গোপনে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ পেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এদের অফিস বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা না দিলে হজের নামে ‘বড় ধরনের প্রতারণার শঙ্কার কথাও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
‘আকবর হজ গ্রুপ বাংলাদেশ' ও 'আকবর ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনালের’ মালিক লুৎফর রহমান ফারুকীকে ২০২৪ সালে হজের সময় ধর্ম মন্ত্রণালয় ‘দেশ বিরোধী’ আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে ওমরাহ ও হজের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করে। তার সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতেও সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছিল।
গাজীপুর এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড নামে লাইসেন্স বাতিল হওয়া একটি এজেন্সির স্বত্বাধিকারী লুৎফুর ২০২৪ সালে ‘নর্থ বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস’ নামের একটি হজ এজেন্সির মোনাজ্জেমের দায়িত্বে ছিলেন।
নর্থ বেঙ্গল লিড এজেন্সি হিসেবে সেবার ৬৮২ জনকে হজে পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছিল। লুৎফুর এসব হজযাত্রীদের টিকেটের অর্থ নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিলে তাদের হজযাত্রা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুই দফায় তাদের জটিলতা নিরসন করে হজে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মালিক লুৎফর রহমান ফারুকীর মোবাইলে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পুরনো খবর