“রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য”, বলেন তিনি।
Published : 23 Sep 2024, 08:59 PM
এ দেশ সব নাগরিকের মন্তব্য করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।”
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার সচিবালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ১১টি নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের বসবাস মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “এখানকার বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ সবার জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অন্যান্য সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর দুর্গম নয়। রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য।”
পার্বত্য এলাকার সব শিক্ষার্থীকে ডিজিটালাইজড ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা, পাহাড়ে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো এই মুহূর্তে সম্ভব না হওয়ায় সেখানে আপাতত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
“দুর্গম এলাকায় সরকারের বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান সুপ্রদীপ।
“আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। পরিবেশ রক্ষা, ইকো ট্যুরিজম, এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।”
সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলাই প্রধান কাজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সবার মনে সমতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গ্রিল্যান, মানবাধিকার কর্মকর্তা অ্যান ডৌরথি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যানও উপস্থিত ছিলেন।