এদিন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়।
Published : 15 Jul 2024, 07:12 PM
অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না তা জানা যাবে ১২ সেপ্টেম্বর।
সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত জমি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে করা দুদকের মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য ওই দিন ধার্য করেছে।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) উপস্থাপন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ও মামলা আমলে নেওয়ার জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এদিন শুনানি করেন।
ঋণ অনিয়ম করে আলোচিত বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০.২৫ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাত করার চেষ্টা এবং সাড়ে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে গত ৫ জুন কমিশনের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন-বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক এবং ক্যাপিটাল বনানী ওয়ান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন আহমেদ। এদের মধ্যে আমিন আহমেদ ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় কেনার জন্য চুক্তি করেন।
চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এ ছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।
বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিভিন্ন সময় ৫৯টি মামলা দায়ের করে দুদক। সেসব মামলার কোনটিতেই আসামি হিসেবে আবদুল হাই বাচ্চুর নাম ছিল না।
গত বছরের ১২ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। সেখানে চার্জশিটে ৫৯টি মামলার মধ্যে ৫৮টিতেই আসামি হিসেবে বাচ্চুর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুৃন: