মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নাইজেরিয়া। প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদি বুহারি’র টুইটার পোস্ট ডিলিট করার পরপরই নিজ ভূখণ্ডে টুইটার সেবা বন্ধ রেখেছিল দেশটির সরকার।
Published : 13 Jan 2022, 05:48 PM
গেল বছরের জুন মাসের এক টুইটে আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘শাস্তি’ দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট বুহারি। ওই টুইট মুছে দিয়েছিল টুইটার। এরপর সামাজিক মাধ্যমটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে নাইজেরিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে, নাইজেরিয়ায় স্থানীয় দপ্তর খোলাসহ বেশ কিছু শর্তে টুইটার রাজি হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও ভিপিএন বা ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেসি নেটওয়ার্ক’-এর মাধ্যমে দেশটির নাগরিকদের অনেকেই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিলেন। টুইট করলে ওই ভিপিএন ব্যবহারকারী এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছিল নাইজেরিয়া সরকার।
সরকার হঠাৎ মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে নাইজেরিয়ার নাগরিকরা সোচ্চার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে, নাইজেরিয়ায় নিবন্ধন করার মাধ্যমে টুইটার দেশটির বাজারের প্রতি যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার প্রমাণ মিললো বলে উঠে এসেছে বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদনে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের প্ল্যাটফর্মটি ব্লক করে রাখতে বলেছিল নাইজেরিয়া সরকার। ভুয়া খবর ছড়িয়ে নাইজেরিয়ার ‘কর্পোরেট অস্তিত্ব” অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে যার ফলাফল “সহিংস” হতে পারে দাবি করেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
‘১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলেছে নাইজেরিয়ায়। গেল বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট বুহারি ওই গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে টুইট করেছিলেন, “আজও যারা বিরূপ আচারণ করছে” তাদের সঙ্গে এমন ভাষায় কথা বলতে হবে যা “তারা বোঝে”।
নাইজেরিয়ার নাগরিকদের মধ্যে টুইটারের আলাদা জনপ্রিয়তা আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিভিন্ন সময়ে জনসমাগমের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে প্ল্যাটফর্মটি। বিভিন্ন সময়ে প্ল্যাটফর্মটির উপর নির্ভর করেছেন স্থানীয় অধিকারকর্মীরা।