২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে এক হাজার তিনশ’ কোটি ডলার খরচ করেছে বাজারের শীর্ষ সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক। নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জেনেও ফেইসবুক সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করে না-- সম্প্রতি এমন অভিযোগ ওঠার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন খাতে এই ব্যাপক বিনিয়োগের দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
Published : 22 Sep 2021, 05:09 PM
রয়টার্স জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে এই দুই খাতে ১০ হাজার কর্মী থাকলেও, বর্তমানে ৪০ হাজার কর্মী ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে মঙ্গলবার দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ফেইসবুকের অভ্যন্তরীণ নথি বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যপ্রণালী নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোর বয়সীদের উপর ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি আগে থেকেই জানা থাকলেও সেটি নিরসনে কোনো কার্যকর চেষ্টাই করেনি ফেইসবুক।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানব পাচারের মাধ্যম হিসেবে ফেইসবুকের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে-- প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরাই এই বিষয়ে উচ্চপদস্থদের জানালেও আশানুরুপ প্রতিক্রিয়া মেলেনি তাদের কাছ থেকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্লগ পোস্টে ফেইসবুক বলেছে, “অতীতে পণ্য নির্মাণ প্রক্রিয়ার শুরুতে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম না আমরা। কিন্তু আমরা এখন ওই পন্থা মৌলিকভাবে পাল্টে দিয়েছি।”
ফেইসবুকের দাবি, তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি কেবল চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই তিনশ’ কোটি ভুয়া ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী এবং টিকা নিয়ে দুই কোটি ভুয়া ও বানোয়াট পোস্ট মুছে দেওয়ার দাবিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি আরও দাবি করেছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম উভয় প্ল্যাটফর্ম থেকে নীতিমালা ভঙ্গকারী কন্টেন্ট মুছে দেওয়ার হার বেড়েছে ১৫ গুন।
সংশ্লিষ্ট খবর: