মার্কিন নির্বাচনে হারলেও এখন পর্যন্ত হার মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এবার টুইট বার্তায় আবারও নিজের বিজয়ের দাবি করেছেন ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প।
Published : 17 Nov 2020, 06:11 PM
টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, “নির্বাচনে আমিই জিতেছি!”
I WON THE ELECTION!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 16, 2020
এই টুইটে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি টুইটারও। টুইটে লেবেল সেঁটে দিয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। লেবেলে বলা হচ্ছে, “এই নির্বাচনকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে একাধিক সূত্র।”
ট্রাম্পের এই টুইটের প্রেক্ষিতে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট করেছেন অনেকে। বারবার নির্বাচনে হার অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্টকে ব্যাঙ্গ করতে ছাড় দেননি তারকা, ব্র্যান্ডসহ সাধারণ গ্রাহক।
কোনো প্রমাণ ছাড়া টুইটারে এমন দাবির কারণে শিগগিরই তামাশায় পরিণত হয়েছেন ট্রাম্প।
ব্যাঙ্গ করে টুইটারে ‘সবজি বিরিয়ানিকে ভারতের জাতীয় খাবার’ দাবি করেছে খাবার সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম সুইগি। অর্থাৎ ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দাবি অনেকটা সবজি বিরিয়ানি ভারতের জাতীয় খাবার হওয়ার মতোই অবাস্তব। একই ধারায় এসেছে অনেকগুলো টুইট-
And I am Duke of Cambridge.https://t.co/XlRe4AYsar
— Saral Patel (@SaralPatel) November 16, 2020
নিজেকে ‘কেমব্রিজের ডিউক’ দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা সরল প্যাটেল।
Let me try... I AM BEYONCÉ!! https://t.co/7gGfLv8f4Y
— Bärí A. Williams (@BariAWilliams) November 16, 2020
অন্যদিকে লেখক বারি এ উইলিয়ামস লিখেছেন, “আচ্ছা, আমিও চেষ্টা করি... আমি বিয়ন্সে।”
I WON THE LOTTERY!
(The game is to type 'I WON' and then let auto correct finish the sentence, right?) https://t.co/KCG0epZW4I
— Doctor Roshan R (@pythoroshan) November 16, 2020
“আমি লটারি জিতেছি। এখানে খেলাটি হলো ‘জিতেছি’ শব্দটি ব্যবহার করা এবং বাকি বাক্য গুগলকে শেষ করতে দেওয়া, তাই না?” বলেন ড. রোশান নামের আরেক টুইটার গ্রাহক।
I WON THE ELECTION!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 16, 2020
কিছু টুইটার গ্রাহকের দাবি, নির্বাচনে তারাও জিততে পারতেন।
৩ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের জয় এবং ট্রাম্পের হারের কথা গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছে মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে নির্বাচনে হার কোনোভাবেই মানছেন না ট্রাম্প। কোনো প্রমাণ না দিয়েই বারবার দাবি করছেন, নির্বাচনে তিনি জিতেছেন এবং ইলেকটোরাল ভোটে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে।