যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
Published : 14 Nov 2021, 11:02 PM
রোববার সন্ধ্যায় কমিটির প্রধান কেএম রব্বানি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির প্রধান কেএম রব্বানি বলেন, “আমরা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। ৫৮ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডের সচিবের কাছে। ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এই জালিয়াতির সাথে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত ছিলেন। তাদের সহযোগিতায় টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ ভ্যাটের জন্য দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা ৯টি চেকে ১০ হাজার ৩৬ টাকার পরিবর্তে জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত গত ৭ অক্টোবর বোর্ডের অডিট শাখায় ঘটনাটি ধরা পড়ে। ওই ৯টি চেকের মধ্যে ৭টি ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ও ২টি শাহীলাল স্টোরের নামে ইস্যু করা।
গত ১৮ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলমের নামে মামলা করেন।