এদিকে, এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ বিষয়টি দুদককে জানানোর পরামর্শ দেয়।
জালিয়াতির মাধ্যমে বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ উঠেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসনীম আহমেদ বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা একটি অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের ধরন দেখে তাকে এ বিষয়ে দুদকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের উপ-সচিব জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী রেজা।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, “বিষয়টি এখন পুলিশের নয়। আমরা তদন্ত শুরু করছি। আগামীকাল (রোববার) সকাল ১১টার দিকে এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা বোর্ডে যাব।”
বোর্ডের অডিট অফিসার আবদুস সালাম বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ সরকারের ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার বিপরীতে সোনালী ব্যাংক বোর্ড শাখার ৯টি চেক ইস্যু করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
“কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং সাতটি ও শাহীলাল স্টোরে নামে দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের সোনালী ব্যাংকের ওই একাউন্ট থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।”
গত বুধবার চেকের মুড়ি বইয়ের সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে বলে জানান সালাম।
এই ঘটনায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
বোর্ডের কর্মচারীদের যোগসাজসে ভুয়া চেকের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন সালাম।
চেক পাওয়া প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং-এর মালিক আশরাফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিক এ ঘটনার জন্য বোর্ডের শীর্ষ কয়েক জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করেছেন।
ভেনাস প্রিন্টিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু শনিবার ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ভুয়া প্যাড, সিল ব্যবহার করে দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ কাজ করেছেন। টাকা সব তাদের কাছে। আমার কাছ থেকে ফিরতি চেকে তারা এই টাকা নিয়ে গেছেন।
শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল দায়ী করেছেন হিসাব বিভাগের এক সহকারীকে।