কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাসিমের লাশ পাওয়া গেছে।
Published : 02 Nov 2021, 11:30 PM
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহাবুবুর রহমান।
কীভাবে এই রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লাশ উদ্ধারের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
নিহত হাশিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচিত ছিলেন হাসিম।
তবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের এই সশস্ত্র দলটির বাংলাদেশে তৎপরতার খবর বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সম্প্রতি শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুনের পর আরসার নামটি আবার সামনে আসে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
মুহিবুল্লাহর স্বজনদের অভিযোগ, আরসা সদস্যরাই সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।
এরপর গত ২৩ অক্টোবর উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে।
ওই হত্যাকাণ্ডেও হাসিমের দিকে সন্দেহের তীর ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তারা জানান।
২০১৭ সালের অগাস্টে আরসার হামলার কারণেই রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর দাবি করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
সেই অভিযানে নিপীড়নের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগে থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি শরণার্থীর ভার বহন করছে বাংলাদেশ।