গাইবান্ধা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ২২ জনের একটি কৃষিশ্রমিকের দল নাটোরের চলনবিল এলাকায় ধান কাটার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Published : 21 Apr 2020, 09:58 AM
পুলিশ ও জেলা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে সোমবার এই দলটি পাঠানো হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানান, এর আগে গোবিন্দগঞ্জ থানা মসজিদ চত্বরে এই শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শ্রমিককে দুটি করে উন্নতমানের মাস্ক দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল অঞ্চলে কৃষি শ্রমিকের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু সময়মত ধান কাটা আবশ্যক। তা না হলে আসন্ন সম্ভাব্য ঝড়-বৃষ্টি, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা ব্যাহত হতে পারে। এমন আশঙ্কায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি দপ্তরের তৈরি করা তালিকা থেকে এই ২২ জনকে বাছাই করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার সবাইকে পরস্পর থেকে দূরে থাকতে বলছে।
অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশ সরকারও প্রায় সবকিছু বন্ধ করে সবাইকে ঘরে থাকতেও বলেছে। অনেক জেলা থেকে বের হওয়া এবং ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলায় পেকে যাওয়া বোরো ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না। তাদের সহযোগিতার জন্য প্রশাস উদ্যোগ নিয়েছে।