কিশোরগঞ্জে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এছাড়া এ মামলায় আরও সাতজন যাবজ্জীবন দিয়েছে একই আদালত।
Published : 19 Jun 2019, 12:10 PM
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম বুধবার ১৪ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার হোসেনপুর উপজেলার টান সিদলা গ্রামের আবদুল আউয়াল, আল আমিন ও সুফল মিয়া।
তাদেরর মধ্যে আল আমিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই গ্রামের আব্দুল করিম, সাফিয়া খাতুন, আব্দুল কাদির, সোহেল মিয়া, রিপা আক্তার, জহুরা খাতুন ও আব্দুর রউফ ফকির।
তাদের মধ্যে সোহেল পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এরশাদুল ইসলাম চয়ন হত্যা মামলায় আদালত এই রায় দেয়।
চয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স পাস করে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মৃত্যুর দুই দিন পর তার চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বলে তার বাবা জহিরুল ইসলাম রতন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় মামলার নথির বরাতে বলেন, পূর্বশক্রুতার জেরে ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর টান সিদলা গ্রামে বাড়িতে হামলা চালিয়ে চয়নকে হত্যা করা হয়। তাছাড়া তার মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা জহিরুল ইসলাম রতন ১১ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী এপিপি যজ্ঞেশ্বর বলেন, পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলা চলাকালে আমিনুল হক ওরফে হিরা নামে এক আসামি মারা যান বলে তার বিচার হয়নি।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অশোক সরকার।