“শ্রমিকের দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি শুধু অমানবিক নয়, এটি শোষণের নিকৃষ্ট উদাহরণ,”- বলেন জি এম কাদের
Published : 15 Aug 2022, 04:54 PM
চা শ্রমিকদের দাবি করা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিও জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট নয় দাবি করে ১২০ টাকা মজুরিকে শোষণের নিকৃষ্ট উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শোষণের শিকার চা শ্রমিকরা স্বপ্ন দেখার সাহসও হারিয়ে ফেলেছেন।”
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন লাখো চা শ্রমিক। ১৩ অগাস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, “যুগ যুগ ধরে চা শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত। বিবেকহীন শোষণে ধ্বংস হচ্ছে চা শ্রমিকদের স্বপ্ন।
“বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিকের দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি শুধু অমানবিক নয়, এটি শোষণের নিকৃষ্ট উদাহরণ।”
অবিলম্বে চা শ্রমিকদের সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতার পর এক টাকা দুই আনা মজুরি পেতেন শ্রমিকরা। পরে সেটা বেড়ে দৈনিক পাঁচ টাকা করা হয়। এভাবে মজুরি বাড়তে বাড়তে এখন দৈনিক ১২০ টাকা হয়েছে।
দুই পূজায় বোনাসের পাশাপাশি কিছু অধিকারও পেয়েছেন শ্রমিকরা। কিন্তু বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে তাতে সংসার চালানো কঠিন ঠেকছে তাদের।
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শনিবার সকাল থেকে সিলেট ভ্যালির ২৩টি, হবিগঞ্জের ২৪টি এবং মৌলভীবাজারের ৯২টি বাগানসহ মোট ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিক একযোগে ধর্মঘট শুরু করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করছেন।
আলাদা এক বিবৃতিতে চা শ্রমিকদের এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
আরও পড়ুন:
মজুরি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চা শ্রমিকরা
১২০ টাকায় কীভাবে সংসার চলে, প্রশ্ন চা শ্রমিকের
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা