দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পুলিশি হামলার দুই মাস পুরনো একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কয়েকজন পুলিশকে লাইব্রেরির পাঠকক্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পেটাতে দেখা গেছে।
Published : 16 Feb 2020, 10:55 AM
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সংগঠন জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ৪৯ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে মিছিল বের করেছিল জামিয়ার শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও শিক্ষার্থীদের লাঠি পেটা করে।
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতেও চড়াও হয়েছিল পুলিশ। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো রিডিং হলে (এমফিল সেকশন) বসে আছে, পুলিশ ঢোকার আগে ডেস্কে বসা এক ব্যক্তি ডেস্কের নিচে লুকানোর চেষ্টা করছে আরেকজন আশপাশে ছুটাছুটি করছে।
Exclusive CCTV Footage of Police Brutality in Old Reading Hall, First floor-M.A/M.Phill Section on
15/12/2019
Shame on you @DelhiPolice @ndtvindia @ttindia @tehseenp @RanaAyyub @Mdzeeshanayyub @ReallySwara @ANI @CNN @ReutersIndia @AltNews @BBCHindi @the_hindu @TheQuint @BDUTT pic.twitter.com/q2Z9Xq7lxv
— Jamia Coordination Committee (@Jamia_JCC) February 15, 2020
এ সময় রায়ট গিয়ারে সজ্জিত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হঠাৎ কক্ষটিতে প্রবেশ করে, আড়াল নেওয়ার চেষ্টারত শিক্ষার্থীদের বেদম প্রহার করে। পুলিশের তাণ্ডব চলাকালে কিছু শিক্ষার্থী দৌঁড়ে বের হয়ে যায়।
ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের সময় আহত এক শিক্ষার্থী পরে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ওই একইদিন রাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সেখানেও শিক্ষার্থীদের লাঠি পেটা করে ও তাদের বিরুদ্ধে কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।
এই দুটি ঘটনার জেরে ভারতজুড়ে শিক্ষার্থীরা নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ শুরু করে। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি শক্তি ব্যবহারে উদ্বেগ জানায় হাভার্ড, অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসব প্রতিবাদ ও অভিযোগের মুখে দিল্লি পুলিশ জানায়, শুধু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্ট করেছে তারা।