“এটা যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের সাপ্লাইটা মসৃণ রাখতে পারব৷”
Published : 07 May 2024, 01:03 PM
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রেখে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য ‘বাফার স্টক’ তৈরির পরিকল্পনার কথা বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার সকালে রাজধানীর বারিধারা পার্কের পাশে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাসজুড়ে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
টিটু বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছি, আমাদের টিসিবি বাফার স্টকের চিন্তা করছে। আমরা অন্তত পক্ষে দেড় থেকে দুই মাস, প্রয়োজনে তিন মাসের বাফার স্টক আমরা তৈরি করব। এটা যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের সাপ্লাইটা মসৃণ রাখতে পারব৷
“বিশেষ করে তেলের ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে। তেল কীভাবে বাল্ক আনা যায়, এটা নিয়ে টিসিবি কাজ করছে। আমরা তো এখন বোতলে তেল আনি। আশা করি, আমরা এই মাসে অথবা আগামী মাসে এটা করব।"
বাফার স্টক হল বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্য মজুদের কৌশল। এ কৌশলে পণ্যমূল্য যখন কম থাকে, সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য কিনে মজুদ করে রাখে। সরবরাহ কমে গেলে বাজারে যখন দাম বাড়তে শুরু করে, তখন ওই মজুদ পণ্য বাজারে বিক্রি করে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখায় নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সিজন, অফ সিজন মাথায় রেখে আমরা ট্যারিফের প্রস্তাব দিয়েছি। যখন সিজনাল প্রোডাক্ট তখন একরকম ট্যারিফের প্রস্তাব দিয়েছি, আবার যখন অফ সিজন তখন আমরা ট্যারিফ চেইঞ্জ করে দেব। সো, এই ডায়নামিক জিনিসগুলা আমরা করছি, লক্ষ্য একটাই, যেন বাজারে সরবরাহ ঘাটতি না থাকে। আমরা মনে করি, যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য যদি বাজারে এভেইলেবল থাকে, আমাদের ভোক্তারা নায্যমূল্যে পণ্য পাবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে আমরা চারটা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছি। কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়েরও সহায়তা নেব। সবগুলো মন্ত্রণালয় যার-যার জায়গা থেকে উদ্যোগ নেবে, আর এই উদ্যোগগুলো যদি সফল হয়, তাহলে আমার মনে হয় না যে কোনো গোষ্ঠী, কোনোভাবে আমাদের ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী মে মাস জুড়ে এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা মঙ্গলবার থেকে এসব পণ্য বিক্রি করবেন। নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা।
এবার পরিবার কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করবে টিসিবি।