মসজিদ কর্ণার কাবাব ঘর- নূরজাহান রোডের এই রেস্তোরাঁর রন্ধন পদ্ধতিতে লেগ রোস্ট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিন বাসার সবাইকে।
Published : 03 Nov 2017, 12:23 PM
রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের রেস্তোরাঁর খাবার মানেই কাবাব, চাপ আর পরোটা। এই এলাকার নূরজাহান রোডে এরকমই একটা রেস্তোরাঁর নাম ‘মসজিদ কর্ণার কাবাব ঘর’।
মোহাম্মাদপুর এলাকায় খাবারের ব্যবসায় যে কয়টি দোকানের নামডাক রয়েছে তার মধ্যে এই রেস্তোরাঁ অন্যতম।
প্রতিষ্ঠাতা মানজার আলম। তার মুখেই শুনলাম, ছেলেবেলায় মা-চাচিদের সঙ্গে খাবার তৈরি করতেন। সেই তখন থেকেই রান্নাবান্নার কাজটা তার প্রিয় হয়ে যায়। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ১৯৯০ সালে এই রেস্তোরাঁর ব্যবসা শুরু করেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
কী কী খাবার পাওয়া যায়? প্রশ্ন রাখতেই মানজারের উত্তর, “বিফ শিক কাবাব, বিফ গুরদা কাবাব, বিফ খিরি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন তান্দুরি, চিকেন টিক্কা, বটি কাবাব, বিফচাপ, মুরগির ঝাল ফ্রাই, মাটন লেগরোস্ট, মাটন রেজালা, মাটন কালিয়া, বিফ ঝুরা, নেহারি আর পায়া।”
আরও আছে পরোটা, লুচি এবং বসনিয়ান নান। সব খাবারের চাহিদাই সমান, তবু গরুর ঝুরা খুব চলে। আর বেশি চলে নেহারি ও খাসির লেগ রোস্ট।
সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের দোকানটি খোলা থাকলেও সকালের নাস্তায় পাওয়া যায় পরোটার সঙ্গে ডাল ভাজি।
দুপুর তিনটার পর মূল খাবার। তাই এই কাবাব ঘরের খাবারের স্বাদ পেতে হলে যে কোনো দিন দুপুরের পর চলে গেলেই হবে।
মনে রাখবেন শুধু নেহারি ও পায়া একদিন পরপর পাওয়া যায়। খাসির লেগ রোস্ট প্রতিদিন।
আর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য আজকের রেসিপি মানজার আলমের মসজিদ কর্ণার কাবাব ঘরের খাসির লেগ রোস্ট। মোটামুটি চারজনের জন্য কুলিয়ে যাবে অনায়াসেই।
পদ্ধতি: সব ধরনের মসলা মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। এবার মসলার পেস্ট কড়াই বা পাতিলে ছেড়ে কেওড়া ও গোলাপ জল চার মুখ পরিমাণ ঢেলে ২৫০ গ্রাম পরিমাণ তেল দিয়ে খাসির পায়ের সঙ্গে ভালো করে মাখায়ে হালকা আঁচে রাখতে হবে।
মাংস থেকে পানি ছাড়লে দেড় কেজি পরিমাণ পানি কড়াই বা পাতিলে ঢেলে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন।
এক থেকে সোয়া এক ঘন্টা এভাবে রাখার পর দেখতে হবে খাসির পা সিদ্ধ হল কিনা। সিদ্ধ হলে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন!
আরও রেসিপি