স্ত্রী ধূমপান করতে বারণ করায় জিল্লুর রহমান শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশের নামাজের কক্ষে গিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন।
Published : 04 May 2024, 04:14 PM
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের একটি কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থান গলে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন এক রোগী।
শুক্রবার রাতে পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ১২ তলার নামাজের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
নিহত জিল্লুর রহমান (৭০) গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া এলাকার কাসেম আলীর ছেলে। তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে শয্যা না পাওয়ায় হাসপাতালের ১২ তলার বারান্দায় থাকতেন তিনি।
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্ত্রী ধূমপান করতে বারণ করায় জিল্লুর রহমান শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশের নামাজের কক্ষে গিয়ে ধূমপান করছিলেন।
“রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি সেখানে মাথা ঘুরে ওই কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থান নিয়ে ১২ তলা থেকে ১০ তলায় পড়ে যান।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর নামাজের ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকলে এবং ওই কক্ষের দেয়ালের পাশে থাকা ফাঁকা স্থানটি নেট দিয়ে আটকানো থাকলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটত না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভবনের একটি দেয়ালের পাশে ফাঁকা স্থানটির বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে জেলার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসিডিও শাওন চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের ‘ইলেকট্রিক ডাক্ট’ হিসেবে লম্বালম্বি দেড়/দুই ফুট প্রস্থের স্থানটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু স্থানটি এভাবে উন্মুক্ত থাকার কথা নয়, সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে আবদ্ধ থাকার কথা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. রফিউল করিম রাফি জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।