তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় মেটা দাবি করেছে, অনলাইনে অল্প বয়স্কদের সুরক্ষায় গত ১০ বছর ধরে তারা বিভিন্ন ধরনের টুল ও পদ্ধতি বিকাশ করে আসছে।
Published : 18 May 2024, 12:11 PM
শিশুদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের অভিযোগে ফেইসবুকের মালিক মেটার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কমিশনের সম্ভাব্য ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)’ নামের আইনটি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা গত বছর পাস হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে। আর এর মূল লক্ষ্য ছিল, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তিমূলক আচরণ তৈরি, ভুল তথ্য ছড়ানো ও অনলাইন বিভিন্ন স্ক্যাম পরিচালনার মতো বিষয়গুলো ঠেকানো।
“আজ আমরা মেটার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করছি,” বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন ইইউ’র অভ্যন্তরীণ বাজার কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন।
“আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে, মেটা তাদের প্ল্যাটফর্ম ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তরুণ ইউরোপীয়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকি কমাতে ডিএসএ’র বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য যথেষ্ট কাজ করেছে কি না...আমরা শিশুদের সুরক্ষায় কোনও প্রচেষ্টাই ছাড় দেব না।”
এ তদন্তের একাংশ লক্ষ্য হল, ‘র্যাবিট হোল ইফেক্ট’ নামে পরিচিত বিষয়টিকে সামনে আনা, যেখানে ব্যবহারকারীদেরকে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কনটেন্ট দেখাতে বাধ্য করা হয়। আর এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় মেটা দাবি করেছে, অনলাইনে অল্প বয়স্কদের সুরক্ষায় গত ১০ বছর ধরে তারা বিভিন্ন ধরনের টুল ও পদ্ধতি বিকাশ করে আসছে।
“আমরা চাই অনলাইনে কমবয়সীরা যেন নিরাপদ, বয়স-উপযুক্ত অভিজ্ঞতা পান। পাশাপাশি, তাদের সুরক্ষায় ৫০টির বেশি টুল ও নীতিমালা তৈরির পেছনে আমরা এক দশক সময় কাটিয়েছি,” বলেন মেটার এক মুখপাত্র।
“গোটা শিল্পই এ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আর আমরা ইউরোপীয় কমিশনের কাছে আমাদের কাজের বিবরণি দেখাতে প্রস্তুত আছি।”
এদিকে, ডিএসএ’র নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে নিজেদের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ছয় শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে মেটা।
মেটার সাম্প্রতিক আর্থিক আয়ের ফলাফল অনুসারে, ২০২৩ সালে কোম্পানির সামগ্রিক আয় ছিল ১৩ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। সে হিসাবে মেটার জরিমানা হতে পারে আটশ কোটি ডলার পর্যন্ত।