ঠাণ্ডা পরিবেশন হয় বলে গরমে খেতে বেশ ভালোলাগে আর ভাজাপোড়া থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার। সহজে তৈরির পদ্ধতি দিয়েছেন সুমি’জ কিচেন’য়ের সুমনা সুমি।
Published : 02 Jun 2017, 03:06 PM
বড়া তৈরি: মাষকলাইয়ের ডাল ১ কাপ (সারারাত বা কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন)। বেইকিং সোডা ১/৪ চা-চামচ থেকেও কম। লবণ ১ চা-চামচ। জিরা ও লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ করে।
ডাল পানিতে ভিজে ফুলে উঠলে কয়েকবার ধুয়ে নিন। এখন খুবই অল্প পানি দিয়ে ডাল ব্লেন্ড করুন। ডালের মিশ্রণটি একদম ঘন হবে যাতে হাত দিয়ে তেলে ছাড়া যায়।
এখন বেইকিং সোডা, জিরা ও মরিচগুঁড়া ডালের মিশ্রণে মিশিয়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ফেটতে থাকুন। খুবই মসৃণ একটা মিশ্রণ হবে।
কড়াইতে ২ কাপ তেল গরম করে নিন। তেল অনেক গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে হাত দিয়ে গোল্লার মতো করে তেলে ছাড়ুন। দেখবেন বড়াগুলো ফুলে উঠছে। অল্প তাপে সময় নিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন।
চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলেই বড়া মাঝখানে শক্ত হয়ে যাবে।
একটি বড় বাটিতে পানি নিন। বড়াগুলো তেল থেকে তুলে পানিতে ছাড়ুন। দেখবেন বড়াগুলো আরও ফুলে উঠছে।
দইয়ের চাট তৈরি: দই ৪ কাপ। চিনি ২ টেবিল-চামচ। বিট লবণ স্বাদ মতো।
একটি বড় পাত্রে উপরের সব উপকরণ মিশিয়ে দই ভালো করে ফেটে নিন যাতে কোনো দানা দানা না থাকে। এখন বড়াগুলো পানি থেকে তুলে কিছুটা চিপে দইয়ে ডুবিয়ে দিন।
তেঁতুলের চাটনি: আধা কাপ তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ১/৪ কাপ চিনি ও সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে নিন।
দইবড়া তৈরি: দইয়ে ডোবানো বড়াগুলোর উপর ধনেপাতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি দিন। টালা জিরাগুঁড়া, চাট-মসলা ছিটিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।