অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বিচ্ছেদ

ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও তার স্বামী হারুন অর রশীদ অপুর দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটেছে।

এবার শবনম ফারিয়ার বিয়ে

‘পারিবারিক কারণে, পারিবারিক ভাবে ও পারিবারিক সম্মতিতে’ আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েবিচ্ছেদে সম্পন্ন হয়েছে বলে শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন শবনম ফারিয়া ও অপু।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি আংটিবদলে পর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা; তার এক বছর দশ মাসের ব্যবধানে আলাদা হলেন তারা। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এ বিবৃতিতে তারা বলছেন, “মানুষ কি বলবে ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা। জীবনটা অনেক ছোট, এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার? এইটা ভেবে আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আমরা আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না।

“তাও বছরখানেক সময় নিয়েছি পরস্পরকে বুঝতে। ফাইনালি আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।“

বিয়েবিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্বে কখনও বিচ্ছেদ ঘটে না জানিয়ে তারা বলছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন তাদের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে।

“শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম। এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না।”

২০১৫ সালে ফেইসবুকে অপুর সঙ্গে ফারিয়ার পরিচয়। কথায় কথায় একসময় গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব থেকেই বিয়ে করেছিলেন তারা।

২০১৩ সালে ‘অল টাইম দৌড়ের উপরে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ফারিয়ার ছোটপর্দায় অভিষেক ।

বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয়ের পর চলতি বছর অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘দেবী’ চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।