বন্দরের তিন প্রকৌশলীর ঘুষ দাবির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম বন্দরের তিন প্রকৌশলির বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির একটি অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শাহে নুর আড়াই মাস আগের এ অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী  রফিকুল আলম।  

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন-চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপের উপ-প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল হক, দুই নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রফিকুল আলম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি বন্দরের ওই তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন মর্মে দুদক আইনে অভিযোগটি করেছিলেন আওয়ামী লীগনেতা ও ঠিকাদার রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াস।

আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগনেতা ইলিয়াস গত ২৮ ডিসেম্বর মেরিন ওয়ার্কশপ কার্যালয়ে প্রকৌশলী এমদাদুল হককে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় বন্দরের করা মামলায় কারাগারেও গিয়েছিলেন ইলিয়াস। জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকেশৗলীদের ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন তিনি।  

আইনজীবী রফিকুল বলেন, “বাদী মোহাম্মদ ইলিাস বন্দরের একজন নিয়মিত ঠিকাদার। তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর একটি দরপত্রের ফরম জমা দিতে গেলে অভিযুক্ত প্রকৌশলীরা বাধা দেন এবং জমা দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

“এছাড়া ঘুষ দিতে না চাইলে প্রকৌশলী এমদাদ ও অপর দুইজন মিলে তাকে (ইলিয়াস) গালিগালাজ ও মারধর করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।”

বন্দর প্রকৌশলীকে মারধরের মামলায় আ. লীগ নেতা কারাগারে

টেন্ডার নিয়ে বন্দর প্রকৌশলীকে আওয়ামী লীগ নেতার ‘মারধর’

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ