নিরাপত্তা শঙ্কায় কোনো ম্যাচ না খেলে শেষ মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের সিদ্ধান্তে ভীষণ হতাশ ও ক্ষুব্ধ ইনজামাম-উল-হক। বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এ ব্যাপারে আইসিসির হস্তক্ষেপ চান পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
Published : 18 Sep 2021, 08:08 PM
দেড় যুগ পর পাকিস্তান সফরে এসেছিল নিউ জিল্যান্ড। রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার প্রথম ওয়ানডে শুরুর কিছুক্ষণ আগে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানে খেলতে পারছে না তারা। দেশটি ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে তাদের।
নিউ জিল্যান্ডের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেকেই। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেন, এভাবে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অন্তত আলোচনা করতে পারত তারা।
“পাকিস্তানের সঙ্গে নিউ জিল্যান্ড যা করেছে, কোনো দেশ অন্য একটা দেশের সঙ্গে তা করতে পারে না। তারা আমাদের অতিথি, কোনো সমস্যা থাকলে পিসিবির সঙ্গে তাদের কথা বলা উচিত ছিল। নিউ জিল্যান্ডকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল পাকিস্তান। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর হামলার পর থেকে দলগুলোকে একজন সফররত প্রেসিডেন্টের সমতুল্য নিরাপত্তা দিয়েছি আমরা।”
২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি পাকিস্তানে। লম্বা সময় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ‘হোম সিরিজ’ খেলা দেশটিতে যখন ধীরে ধীরে সফর শুরু করছিল বিভিন্ন দেশ, তখন নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের ঘটনা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য।
এ বিষয়ে তাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন পাকিস্তানের সবসময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ইনজামাম।
“অবশ্যই এ ব্যাপারে আইসিসির পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যদি নিউ জিল্যান্ডের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয় থাকে, তাহলে সেটা কেন তারা বলছে না? পিসিবিকে না হোক, অন্তত আইসিসিকে তারা বলতে পারে। এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন।”
“যদি নিউ জিল্যান্ড তাদের উদ্বেগ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলত, তাহলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অবশ্যই বিষয়টিতে নজর দিতে পারত। কিন্তু ম্যাচের ঠিক আগে তারা বলে দিল, কিছু হুমকির কারণে তারা খেলতে পারবে না। সমস্যাটা কী, সেটা অন্তত আমাদের জানাত। বিষয়টি আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।”
এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল নিউ জিল্যান্ডের।