হারের বলয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য সঞ্জীবনী সুধা হয়ে এসেছে পাল্লেকেলে টেস্টের ড্র। আঁধারে যে আলোর রেখা মিলেছে, সেটি অনুসরণ করেই দলকে এগিয়ে যেতে বলছেন খালেদ মাহমুদ। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের টিম লিডারের চাওয়া, আপাতত ধারাবাহিকভাবে ড্র করাটা শিখুক দল। ড্রয়ের পথ ধরেই একসময় মিলবে জয়ের পথ।
Published : 26 Apr 2021, 08:36 PM
জয় তো বহুদূর, টেস্ট ড্র করাটাও বাংলাদেশের জন্য বেশির ভাগ সময় হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য। সাম্প্রতিক সময়ে দলের যা পারফরম্যান্স ছিল, তাতে একটি ড্র হয়ে উঠেছিল বহু আরাধ্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলের ব্যাটিং স্বর্গে অবশেষে তা পেয়েছে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ১২২ টেস্টে এটি বাংলাদেশের কেবল ১৭তম ড্র। জয় মাত্র ১৪টি। বাকি ৯১ ম্যাচেই পেতে হয়েছে পরাজয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাইরে টানা ৯ টেস্ট হারের পর পাল্লেকেলেতে ড্র করতে পারল বাংলাদেশ। এখান থেকেই এই দলের নতুন শুরু দেখতে চান খালেদ মাহমুদ।
“আমরা যদি এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, প্রায় একটা বছর যদি আমরা ড্র করতে পারি এরকম, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা ওপর থেকে দায়িত্ব নিতে পারে, একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখব। ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জেতা শিখব। ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য জরুরি।”
ধারাবাহিকতাই অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পাল্লেকেলে টেস্টের আগ পর্যন্ত দেশের বাইরে ১৭ ইনিংসে কেবল একবার আড়াইশ ছাড়াতে পারে তারা।
পাল্লেকেলে টেস্টের পারফরম্যান্সে মিলেছে উন্নতির আভাস। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দল। তবে স্রেফ একটি ভালো ইনিংস দেখে তৃপ্তির অবকাশ দেখছেন না মাহমুদ।
“এক ইনিংস দেখে এত মূল্যায়ন করাটা ঠিক হবে না। আমি বিশ্বাস করি যে, ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব। ছেলেরা এখান থেকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলবে। আগামী ম্যাচ আছে এখানে, সামনে জিম্বাবুয়ে যাব আমরা (জুন মাসে), আমরা যেন উপযুক্ত টেস্ট দল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি। এই ছেলেরা যেন গড়ে উঠতে পারে।”