বাংলাদেশে ক্রিকেটের যে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা, ক্রিকেট অধিনায়কের সম্মানও সেখানে অনেক উঁচুতে। পাশাপাশি মাশরাফি বিন মুর্তজার নিজের জাদুকরী সামর্থ্য তো ছিলই। সব মিলিয়ে তিনি দেখেছেন জনপ্রিয়তার চূড়া। তবে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় বেলায় বললেন, এসবকে তিনি কখনোই গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। উদাহরণ দিলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পরও নেননি অনেক সরকারী সুবিধা।
Published : 05 Mar 2020, 06:39 PM
ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে মাশরাফির বিদায় ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রসঙ্গের ভীড়ে উঠে এসেছে খ্যাতি ও সেটি সামলানোর প্রসঙ্গও। বাংলাদেশে ক্রিকেট অধিনায়কের ওজন অনেক। সম্মান অনেক। দায়িত্বের পরিধি অনেক। বিড়ম্বনা ও যন্ত্রণাও অনেক।
কিন্তু মাশরাফির দাবি, তিনি নিজে কখনও ওসবকে খুব একটা পাত্তা দেননি। এমনি সংসদ সদস্য হওয়ার পরও বদলায়নি তার ভাবনার জগত।
“অধিনায়কত্ব যখন শুরু করেছি বা পরে, কখনও এসব অনুভব করিনি। আমার আরেকটা পরিচয় এমপি, এটিও কখনও সেভাবে অনুভব করিনি। লাল পাসপোর্ট নেইনি, বাড়ি নেইনি, গাড়ি নেইনি। আমি আসলে এসব থেকে সবসময়ই দূরে থাকতেই পছন্দ করেছি। দূরে থাকাটা ভালো মনে করি।”
মাশরাফির কাছে দায়িত্ব মানে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া, প্রভাব খাটানো নয়।
“আমি যখন এই চেয়ারটা (দায়িত্ব বোঝাতে) পেয়েছি, সম্ভাব্য সবকিছুই ছিল এই চেয়ারটা পাওয়ার মতো। ভালো যা কিছু করতে থাকব, এই চেয়ারটা আমার কাছে আসতে থাকবে। যখনই আমি এই চেয়ারটা পেলাম, তখনই ওখানে শেষ লেখা হয়েছে। এই চেয়ার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আর নেই।”
“তো এই চেয়ারটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত। এটার প্রভাবটা আমি অন্যভাবে খাটাতে চাই না। আমি জিনিসটা এভাবে দেখি যা আমি অর্জন করব বা অর্জন করতে যাচ্ছি। তা পাওয়ার পর ওটার মূল্য আর নাই। তখন সেটার মূল্যায়ন হবে আমি কিভাবে এটার প্রয়োগ করেছি।”