ইউএনও বলেন, “আজও বিজিপির ৮০ থেকে ৯০ সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে এটা স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি।”
Published : 05 May 2024, 07:14 PM
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে রোববারও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির সশস্ত্র সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট এলাকায় তিনটি কাঠের ট্রলারে করে বিজিপি সসদস্যরা এসে কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখেছেন; তারা মোবাইলে ছবিও ধারণ করেছেন। তবে এ নিয়ে বিজিবি বা কোস্ট গার্ড কেউ কথা বলেননি।
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, “শনিবারের মতো রোববারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কতজন সেটা এখনো জানা যায়নি। তাদেরকেও বিজিবির হেফাজতে রাখা হবে।”
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “আজও বিজিপির ৮০ থেকে ৯০ সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে এটা স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। তবে বিষয়টি কোস্ট গার্ড ও বিজিবি দেখছে।”
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজির আহমদ বলেন, “কাঠের ট্রলারে করে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের কেরুনতলীর কোস্ট গার্ড স্টেশনের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৮ জন বিজিপি সদস্য রয়েছে। কোস্ট গার্ড স্টেশন কার্যালয়ের পাশে কয়েকটি বাসও অপেক্ষায় রয়েছে।”
এর আগে শনিবার ভোরে আরও কিছু সংখ্যক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা জানা না গেলেও ধারণা করা হয়, এদিন ৪০ জনের মতো এসেছিলেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এল আরও বিজিপি সদস্য
দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়।