নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতা রোধে পুলিশ তৎপর হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।”
Published : 18 May 2024, 11:55 PM
পাবনার সুজানগর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর নানী বাদী হয়ে শনিবার পাঁচজনকে আসামি করে সুজানগর থানায় মামলা করেন বলে জানান ওসি জালাল উদ্দিন।
কিশোরীকে পাবনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থী ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যায়। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামিরা তার মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের তিনজন হলেন আব্দুল বারেক মণ্ডল, সাজিদ ও ইমন।
বাদী বলেন, ৮ মে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন।
তিনি অভিযোগ করেন, “ফলাফলের পর থেকেই নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল বিজয়ী আব্দুল ওহাবের সমর্থক কামরুজ্জামান দয়াল। তার নির্দেশে আমার ছেলের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় বাড়ি থেকে বিতারিত করার। এর পরই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, “সন্তানতুল্য ওই কিশোরীকে এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। মনে হচ্ছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই আমার অপরাধ হয়েছে।
“আব্দুল ওহাবের নির্দেশে তার কর্মী-সমর্থকরা সুজানগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। থানার ওসি নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতা রোধে পুলিশ তৎপর হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।”
তবে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি বা নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বিজয়ী আব্দুল ওহাব। তিনি বলেন, “নির্বাচনে পরাজিত হয়ে শাহীন ও তার সমর্থকরা সব কিছুকেই নির্বাচনি সহিংসতা বলে প্রচার চালাচ্ছেন। পুলিশ অপরাধীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।”
সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে। সব অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে। থানায় এ পর্যন্ত ১৪টি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”