দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Published : 04 May 2024, 06:36 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে আরও কিছু বিজিপি সদস্য এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
অব্যাহত যুদ্ধের মধ্যে শনিবার ভোরে নাফ নদীর তিনটি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্য অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ পালিয়ে আসে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির জানান।
যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে উল্লেখ করে মাইনুল কবির বলেন, নিরস্ত্রীকরণের পর তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি।
সকালে বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে প্রবেশের ছবি স্থানীয় লোকজন মোবাইলে ধারণ করেছেন। এসব ছবি সংবাদ কর্মীদের হাতে এসেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আচারবুনিয়া, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়েই অধিকাংশ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের সংখ্যা ৪০ জনের মতো হতে পারে।
দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়।