হাতে শট যদিও আছে, তবে খুব আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত নন সাইফ হাসান। বরং ঠাণ্ডা মেজাজের, শান্ত ও ধীরস্থির ব্যাটসম্যান হিসেবে দেশের ক্রিকেটে তাকে চেনে সবাই। সেই সাইফ চমকে দিলেন ব্যাটিং তাণ্ডবে। ছক্কার ঝড় তুলে ছুঁলেন রেকর্ড।
Published : 21 Apr 2019, 05:40 PM
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা মেরেছেন সাইফ। লিস্ট ‘এ ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। রেকর্ডটি এতদিন যৌথভাবে ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সৌম্য সরকারের, এখন ভাগ বসালেন সাইফ।
২৪৪ রান তাড়ায় এ দিন সাইফ খেলেন ১১৬ বলে ১৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এবারের লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১১ ছক্কার পাশে ইনিংসটিতে চার আছে ১০টি।
১১ ছক্কা প্রথম মেরেছিলেন মাশরাফি। ২০১৬ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই। ফতুল্লায় সেদিনও প্রতিপক্ষ ছিল শেখ জামাল। কলবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে ৫০ বলে সেঞ্চুরির পথে মাশরাফি গড়েছিলেন ছক্কার রেকর্ডটি।
গত বছর একই কীর্তিতে মাশরাফির পাশে নাম লেখান সৌম্য। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বিকেএসপিতে ১২৭ বলে ১৫৪ রানের ইনিংসে বাঁহাতি ওপেনার ছক্কা মারেন ১১টি।
সৌম্যর মতো বিকেএসপির চার নম্বর মাঠেই রেকর্ড ছুঁলেন সাইফ। ১১ ছক্কার প্রথমটি পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকটা সময়। ১৯তম ওভারে টানা দুই ছক্কা মারেন অফ স্পিনার নাসির হোসেনকে। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ চৌহানকে দুটি।
ছক্কার জন্য সাইফের পছন্দ ছিলেন স্পিনাররাই। বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানির এক ওভারে মারেন তিনটি, অফ স্পিনার এনামুল হককে দুটি, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে দুটি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠেই রেকর্ডটি ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন রকিবুল হাসান। ২০১৭ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ১৯০ রানের অসাধারণ ইনিংসের পথে রকিবুল ছক্কা মেরেছিলেন ১০টি।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০ ছক্কা প্রথম মেরেছিলেন এনামুল হক। ২০১৫ সালে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির হয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংসে ওই সময়ের রেকর্ড গড়েছিলেন ১০ ছক্কায়।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনিংসে ৯ ছক্কা মেরেছেন নাজমুল হোসেন মিলন, নাজমুল হোসেন শান্ত ও জিয়াউর রহমান।