প্রতিপক্ষ সেই ভারত, রোহিত শর্মার আরেকটি সেঞ্চুরি, আবারও বাজেভাবে হার। মেলবোর্নই ফিরে এলো যেন বার্মিংহামে। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল আর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালকে এক সুতোয় গাঁথতে পারছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। দুই ম্যাচের ময়না তদন্ত থেকে অধিনায়কের উপলব্ধি, মানসিক ভাবে আরও শক্ত হতে হবে দলকে।
Published : 16 Jun 2017, 12:48 AM
কোহলিদের “রঘু” ও মাশরাফি-তামিমের বিস্ময়
এসেক্সে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তামিম
টসের ‘দোহাই’ দিচ্ছেন না মাশরাফি
মেলবোর্নে রোহিতের ১৩৭ রান ভারতকে এনে দিয়েছিল তিনশ ছাড়ানো পুঁজি। যে রান তাড়ায় কাছাকাছিও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ভারত ব্যাট করেছে পরে। মাঝারি লক্ষ্যটা অনায়াস করে দিয়েছে রোহিতের অপরাজিত ১২৩।
এমনিতে টুর্নামেন্টে পেছন ফিরে তাকিয়ে প্রাপ্তি অনেক কিছুই দেখছেন মাশরাফি। তবে শেষটায় থাকল কিছুটা আক্ষেপ, বললেন শিক্ষা নেওয়ার কথ।
“আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো টুর্নামেন্ট গেছে আমাদের জন্য। কেউ ভাবতেও পারেনি যে আমরা সেমি-ফাইনাল খেলব। তবে আজকের হার অবশ্যই খুব হতাশার। আমরা আরও ভালো খেলতে চেয়েছিলাম। পথেও ছিলাম। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তামিম ও মুশফিক, সঙ্গে সাকিব পরপর আউট হয়েছে। আর হয়ে ওঠেনি।”
“আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে। আজকেও যেমন আমরা খেলাটাকে হাতে নিয়েছি, আবার ছেড়ে দিয়েছি। এই ব্যাপারগুলি ঠিক করতে হবে। টুর্নামেন্টে অবশ্যই ভালো লাগা আছে অনেক। তবে এই ধরনের ম্যাচগুলিতে যেখনে আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম, সেসব আরও শিখতে হবে।”
‘এই ধরনের’ ম্যাচ মানে বড় ম্যাচ। পরের ধাপটায় যাওয়ার ম্যাচ। এই সব ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি জিতে চাই মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। মাশরাফির আশা, ২০১৯ বিশ্বকাপে দল যখন আবার ইংল্যান্ডে খেলতে আসবে, তখন মানসিকভাবেও তৈরি থাকবে।
“২০১৫ বিশ্বকাপ ও এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দুইটি বড় টুর্নামেন্টে আমরা নক আউট খেললাম। দুটি ম্যাচেই প্রায় একইরকম খেলেছি। যার মানে, আমরা মানসিকভাবে এইসব ম্যাচের জন্য ততটা প্রস্তুত না। স্কিল বা শারীরিক দিক থেকে অতটা পিছিয়ে নেই। মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে, এই গ্রুপটিই যদি শিখে ২০১৯ সালে ফেরে, তাহলে কাজ হবে। দর্শক হয়ে বসে থাকলে লাভ হবে না।”
দল শিখবে, দল খেলবে, দল জিতবে। আপাতত আশার বেসাতি ছড়িয়ে সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা!