নিজেকে ফিরে পাওয়া লিটন দাসের ব্যাটে ছিল চেনা ছন্দ। সময় নিয়ে খেলতে পছন্দ করা নাঈম ইসলাম, এনামুল হককে দেখা গেছে আক্রমণাত্মক মেজাজে। নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক। তারা নন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় চমক রবিউল ইসলাম রবি। জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার সেরা পাঁচে।
Published : 21 May 2017, 07:38 PM
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলিংয়ে বাঁহাতিদের দাপট
রান উৎসবের রোমাঞ্চ জিতে সুপার লিগে শেখ জামাল
লিগে এখন পর্যন্ত শতক হয়েছে ২৭টি। লিটন, নাঈম, জুনায়েদ, রবির সঙ্গে সর্বোচ্চ দুটি শতক করেছেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। চারশর বেশি রান করেছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে শিরোপাধারী আবাহনীর লিটন।
গত লিগেও নিজের ছায়া হয়েছিলেন লিটন। ছন্দ হারিয়ে ফেলা এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এবারে ফিরেছেন স্বরূপে। ১০ ইনিংসের পাঁচটিতেই অন্তত পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। ৫৭.৮০ গড় আর ১০৮.০৩ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭৮ রান। দুটি শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ১৩৬ রানের, সঙ্গে আছে তিনটি অর্ধশতক।
লিটন হয়তো আরও অনেক দূরে যেতে পারেন। কিন্তু পথ চলা থেমে গেছে নাঈমের। তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জায়গা হয়নি সুপার লিগে। দুটি করে শতক ও অর্ধশতকসহ নাঈম ৬৫.৮৭ গড়ে করেছেন ৫২৭ রান। তার সেরা ১২৩।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ৭০.৮৫। এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি ৬৩১ বল খেলে রান সংগ্রহ করেছেন ৮৩.৫১ স্ট্রাইক রেটে।
নাঈমের মতো দুটি করে শতক, অর্ধশতক করা জুনায়েদ ৪৯ গড়ে করেছেন ৪৯০ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের সেরা ১১৪। সুপার লিগে নেই তার দল ব্রাদার্স ইউনিয়নও।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এনামুলের স্ট্রাইক রেট ৭৬.১৪। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবার লিগে খেলেছেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। ৪২.০৯ গড়ে ৪৬৩ রান করা এই তরুণের স্ট্রাইক রেট ৯২.২৩। দুবার শতকের কাছ থেকে ঘুরে আসা এনামুলের অর্ধশতক পাঁচটি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের মালিক মোহামেডানের রকিবুল হাসান আছেন ছয় নম্বরে। গত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক একটি করে শতক-অর্ধশতকে করেছেন ৪৪৪ রান। আবাহনীর বিপক্ষে তার করা ১৯০ বাংলাদেশের মাটিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
প্রথম পাঁচের তিন জনেরই খেলা হবে না সুপার লিগে। লিগ শেষে সেরা পাঁচে পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
অমিত মজুমদার, নাজমুল, মুমিনুল হক, প্রশান্ত চোপড়া, মার্শাল আইয়ুব, আব্দুল মজিদ, ফজলে মাহমুদ, ইমতিয়াজ হোসেন, ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে এসেছে চারশর বেশি রান। অমিত আর ইরফান ছাড়া বাকি সবার দলই খেলবে সুপার লিগে।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ কিংবা নাসির হোসেন ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য আগেভাগেই লিগ না ছাড়লে চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হতে পারতো। মাত্র দুটি ম্যাচ খেলে তামিম করেছেন ২০৩ রান।
চার ম্যাচ খেলে মুশফিকের রান ২৭৯। সমান ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর রান ২৪৭। তাদের চেয়ে রান খানিকটা কম করেছেন নাসির। তবে মাত্র একবার আউট হওয়ায় তার রান আর গড় একই- ২২৬!
নাম/দল | ইনিংস | রান | সর্বোচ্চ | গড় | শতক/অর্ধশতক |
লিটন দাস, আবাহনী | ১০ | ৫৭৮ | ১৩৬ | ৫৭.৮০ | ২/৩ |
নাঈম ইসলাম, রূপগঞ্জ | ১০ | ৫২৭ | ১২৩ | ৬৫.৮৭ | ২/২ |
জুনায়েদ সিদ্দিক, ব্রাদার্স | ১১ | ৪৯০ | ১১৪ | ৪৯.০০ | ২/২ |
এনামুল হক, গাজী | ১১ | ৪৬৩ | ৯৭ | ৪২.০৯ | ০/৫ |
রবিউল ইসলাম রবি, খেলাঘর | ১১ | ৪৫৭ | ১০৭ | ৪১.৫৪ | ২/২ |