শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা রংপুর শ্রম আদালতে এ মামলা করেন।
Published : 30 Apr 2024, 06:34 PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে করা একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে এ মামলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুলও জারি করা হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন খাজা তানভীর আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।
মামলার আসামিরা হলেন গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ে ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
শ্রমিক ঠকানোর দায়ে নোবেলজয়ী ইউনূসের ৬ মাসের সাজা
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আদালতে আমরা বলেছি গোলাম মোস্তফা ছিলেন কর্মকর্তা; তিনি শ্রমিক ছিলেন না। তাই তিনি শ্রম আইনে মামলা করতে পারেন না। শুনানি নিয়ে আদালত ওই মামলার কার্ক্রম স্থগিত করেছেন এবং কেন এ মামলা বাতিল করা হবে না তা জানাতে রুল জারি করেছেন।”
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে কোম্পানির চেয়ারম্যান, শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার কর্মকর্তাকে গত ১ জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশের শ্রম আদালত।
ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে শ্রম আইনের ৩০৩ এর ৩ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই আইনের ৩০৭ ধারায় তাদের সবাইকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।