মাঠে তখন জমে উঠেছে তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটি। ব্যাটিংটা একটু ঝালিয়ে নিতে নেটে গেলেন সাকিব আল হাসান। সুন্দর মাঝ ব্যাটে খেলছিলেন, ডিফেন্স করছিলেন দারুণ। খেলেননি কোনো উল্টা-পাল্টা শট। সেই তিনিই শেষ বেলায় মাঠে গিয়ে উড়িয়ে দিতে চাইলেন প্রতিটি বল! যদিও পরিস্থিতির দাবি ছিল অন্যরকম।
Published : 16 Mar 2017, 06:24 PM
বেশি দিন আগের কথা নয়। হায়দরাবাদ টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং, আউটের ধরন নিয়ে বলতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা। সেবার তাও কোনো রকমে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পেরেছিলেন শেষ পর্যন্ত। এবার আত্মসমর্পন করলেন শুরুতেই।
“সত্যি বলতে কী, আমি কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। (এই ব্যাটিং সম্পর্কে) আমার কোনো ধারণাই নেই।”
পি সারা ওভালে বৃহস্পতিবার সাকিব যখন ক্রিজে আসে তখন হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে লাকশান সান্দাকান। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলকে সুইপ করে হাঁকান চার, ঠেকান হ্যাটট্রিক।
সেই শুরু। পরের প্রতিটি বলে খেলার চেষ্টা করলেন একই মেজাজে। যেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ডেথ ওভার চলছে। ওভারে ২০-২৫ রান করে করতে হবে। সাব্বির রহমান ফিরে যাওয়ার পরও খেলার ধরন পাল্টাননি।
সান্দাকানের পরের ওভারে স্লগ করতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সাকিব। একটু এগিয়ে থাকা উপুল থারাঙ্গা বলে হাত ছোঁয়াতে পারলেও মুঠোয় নিতে পারেননি। অন্য প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম ওই শটে হতভম্ব, ইশারায় যেন জানতে চেয়েছিলেন, এটা কি শট!
ওখানেই থামেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। দিনের শেষ ওভারে সুরঙ্গা লাকমলকে পুল করতে গিয়ে আবার ক্যাচ দেন। ফিল্ডার একবারে সীমানায় থাকায় এবার বল পর্যন্ত যেতে পারেননি।
দিন শেষে সাকিব ৮ বলে তিনটি চারে অপরাজিত ১৮ রানে।
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঠিক একই মেজাজে ব্যাটিং করেছিলেন সাকিব। ১৯ বলে একটি করে ছক্কা-চারে আউট হয়েছিলেন বাজে বলে তারচেয়েও বাজে এক শটে।