ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে। আলো ক্রমশ কমছে। আসেলা গুনারত্নের ওভার শুরুর আগেই আলোকস্বল্পতা নিয়ে আম্পায়ার এরাসমাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন নন স্ট্রাইকার তামিম ইকবাল। খানিক পরেই লাইট মিটার, আলোর অভাবে স্থানীয় সময় সাড়ে পাঁচটার একটু আগে বন্ধ হয়ে গেল খেলা।
Published : 10 Mar 2017, 05:17 PM
অর্ধশতক পেয়ে যাওয়া তরুণ সঙ্গী সৌম্য সরকারকে নিয়ে হাঁটা ধরলেন তামিম। কোনো ক্ষতি ছাড়াই চতুর্থ দিনের শেষ বেলা কাটিয়ে দিল বাংলাদেশ।
গুনারত্নের প্রথম ছিল নো। পরের বলটি আর করা হল না তার। সিদ্ধান্ত জানানোর পর দুই আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন লঙ্কানরা। তবে হতাশা নিয়েই ফিরতে হয় রঙ্গনা হেরাথদের।
পরে আর খেলা শুরু হয়নি। স্থানীয় সময় পাঁচটার দিকে ঘোষণা আসে ‘ম্যাচ কলড অফ’। নাহ, এটা শুধুই বিভ্রাট, ম্যাচ শেষ হয়নি, শেষ হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। এরপরই নামে তুমুল বৃষ্টি। এদিন খেলা কম হয়েছে ১১ ওভার।
গল টেস্ট বাঁচাতে পঞ্চম ও শেষ দিন কাটিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের নিতে হবে ১০ উইকেট। বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৩৯০ রান, যদিও আসল লক্ষ্য পুরো দিন টিকে থাকা।
গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৪৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুক্রবারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৭ রান। ম্যাচে দ্বিতীয় অর্ধশতক পাওয়া সৌম্য ৫৩ ও তামিম ১৩ রানে শেষ দিন ব্যাট করতে নামবেন।
উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য খুব বেশি কিছু নেই। উইকেট বিলিয়ে না এলে চতুর্থ দিনের উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের আউট করা কঠিন ছিল। শট সিলেকশন ঠিক থাকলে আর নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে ম্যাচ বাঁচানো অসম্ভব নয়।
আগের দিন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের মধ্যে উইকেটে পড়ে থাকার যে চেষ্টা ছিল, সহ-অধিনায়ক তামিম হেঁটেছেন সে পথেই। ৪৪ বল খেলে মাত্র একটি চার হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। যথারীতি আক্রমাণত্মক মেজাজে আছেন সৌম্য। ৪৭ বলের ইনিংসে এরই মধ্যে এসেছে ৬টি চার ও একটি ছক্কা।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করে ৪৯৪ রান। জবাবে ৩১২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮২ রানের লিড পাওয়া স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।
অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা ২৪ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। হেরাথের ৪ ওভারে আসে ৩২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৯৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১২
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২৭৪/৬ ইনিংস ঘোষণা
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৫ ওভারে ৬৭/০ (তামিম ১৩*, সৌম্য ৫৩*; লাকমল ০/৮, পেরেরা ০/২৪, হেরাথ ০/৩২, গুনারত্নে ০/৩)