নিজের বয়সের কথা বিবেচনা করে আগেভাগেই কোভিড-১৯ টিকা চাইছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Published : 21 Jan 2021, 05:27 PM
বৃহস্পতিবার দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা আসার পর তা নেবেন কি না- সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রীর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি নেব। সম্ভব হলে সবার আগেই ভ্যাকসিন নেব। আমার তো ভ্যাকসিন দরকার। আমার বয়স হইছে।”
৭৩ বছর বয়সী মুস্তফা কামাল দুই বছর আগে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগেছিলেন। অসুস্থতার জন্য সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাও নিয়ে আসেন তিনি।
আগামী ২৭ কিংবা ২৮ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রথম দিনে চিকিৎসক, নার্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, সাংবাদিকদের একজন করে ২০-২৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান ইতোপূর্বে জানিয়েছেন।
টিকা দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকারের তালিকাও করেছে সরকার। তবে তার মধ্যে রাজনীতিক কিংবা ভিআইপি নেই বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সংখ্যার হিসেবে প্রথম ধাপে সবচেয়ে বেশি টিকা বরাদ্দ থাকছে তাদের জন্য, যাদের বয়স ৭৭ বছরের বেশি।
মুস্তফা কামাল বলেন, “ভ্যাকসিন আসাটা ভালো। আমাদের অনেকেরই বয়স বেশি। ভ্যাকসিন সবার প্রয়োজন। ভ্যাকসিন নিলে আমরা আরও ভালো ফিল করব। কাজ করতে সুবিধা হবে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে আবাদের প্রচেষ্টা আরও সহজ হবে।”
বৃহস্পতিবার ভারতের উপহার হিসেবে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। একই টিকা বাংলাদেশ সরকারিভাবেও কিনছে। এছাড়া অন্য কোম্পানির টিকা পাওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
কোন টিকা নিতে চান- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সরকার যেটা আনবে সেটাই নেব।”
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী। তিনি ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
এই বৈঠকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এক হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারিভাবে কেনা টিকার দাম কত হবে- সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
বেসরকারিভাবে টিকা আমদানি করা হচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনো সোর্স থেকে ভ্যাকসিন আসছে বলে আমার জানা নেই। প্রাইভেট সেক্টর যদি আমদানি করে তাদেরকেই অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।”