সিঙ্গাপুর থেকেই বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, “আমি এখন সিঙ্গাপুরে আছি। সিঙ্গাপুরে আছি আমি ১৭ দিনের বেশি হয়েছে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলাম ডাক্তার দেখাতে পারিনি। ইনফ্যাক্ট গত কয়েক দিন ধরে ডাক্তার দেখাচ্ছি।“
চিকিৎসার জন্য গত ২৯ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে যান অর্থমন্ত্রী।
কবে নাগাদ দেশে আসছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার যে উদ্দেশ্যে আসা তা হলেই আসব। আগে ডাক্তারগুলো দেখাই বার বার তো আসা যাবে না, এখন তো নানা বিধি-নিষেধ।
“যে কষ্টে কোয়ারেন্টিনে পার করেছি এটা বলা যাবে না, এত কষ্ট! আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।”
ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিতে না চাইলেও দুটি প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী।
মহামারীর কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে কি না বা সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা হল আমরা বাজেট দিয়েছি। এখন ২০২০ সাল কদিন পরেই শেষ হবে। সে অনুযায়ী আমরা পর্যালোচনা করছি, আমাদের পর্যালোচনা অনুযায়ী আমাদের যেখানে যেখানে রিকাস্ট করা দরকার সেখানে সেখানে রিকাস্ট করব। আমরা এখনও আশাহত না।”
মুস্তফা কামাল বলেন, “সারা বিশ্বে কোথাও প্রবৃদ্ধি পাবেন না। আমরা এখনও সকল সূচকে প্রবৃদ্ধি লক্ষ করছি। সুতরাং এটা আল্লাহর অশেষ রহমত এদেশের মানুষের প্রতি।”
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্য অর্জনে প্রতি মাসে গড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ‘ভালো অবস্থানে’ রয়েছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভালো অবস্থানে আছি, তাই ঘাবড়ানো বা নাভার্স হওয়ার কিছু নেই। আমরা ঠিক জায়গায় আছি। আমাদের অর্থনীতি ঠিক জায়গায় আছে, ভালো অবস্থানে আছে। অনেক অনেক বেশি ভালো অবস্থানে আছি। যেটা আপনারা কেউ চিন্তা করতে পারেননি তার থেকেও ভালো অবস্থানে আছে আমাদের অর্থনীতি। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”
নেপালে সার রপ্তানি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা কাফকো থেকে সার নিয়ে নেপালকে সার দিচ্ছি। এটা আমাদের প্রথম ট্রেড। আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে, নেপালের সাথে বিশেষ করে এটা আমরা করলাম। আমার মনে হয়, এতে করে আমাদের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভালো হবে।
“আমদানি করে রপ্তানি করা যায়, সিঙ্গাপুরে যেখানে আছি সেখানে সিঙ্গাপুরও আমদানি করে রপ্তানি করে। তারা নিজেরা কিছু তৈরি করত না। আমরাও সেটা করলাম।”