অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
Published : 17 Sep 2020, 05:36 PM
বৃহস্পতিবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, সাহেদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্রটি যে তার, সেটা রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে ‘সক্ষম হয়েছে’। সুতরাং অস্ত্র আইনে নির্ধাারিত সব্বোর্চ শাস্তিই তারা চান।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.মনিরুজ্জামান এদিন তার আংশিক যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, ওই অস্ত্রের বিষয়ে সাহেদের ‘কোনো নিয়ন্ত্রণ জ্ঞান ছিল না’।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সোনারগাঁও জনপথ রোডের ডিজাইন টেক্স সুয়েটার্স লিমিটিডের ৬২ নম্বর প্লটের সামনে সাহেদ তার একটি গাড়ি রেখেছিলেন।
“ওই নিশান গাড়ির চালকের আসনের নিচ থেকে তিনি এক রাউন্ড গুলিসহ ওই পিস্তল বের করে দেন। ওই অস্ত্রের ব্যাপারে তার নিয়ন্ত্রণ জ্ঞান ছিল।”
এর আগে বুধবার আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ বলেন, “আমি নির্দোষ। যে অস্ত্রের কথা এ মামলায় বলা হচ্ছে, সেটা আমার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি, অন্য কোথাও থেকে আনা হয়েছে।”
গত ২৭ অগাস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। এখন প্রতি কার্যদিবসেই শুনানি হচ্ছে। এ মাসেই মামলার রায় দেওয়া যাবে বলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইরুল ইসলামের সাক্ষ্য শোনার মধ্য দিয়ে গত মঙ্গলবার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে চার কার্যদিবসে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তার মক্কেল সাফাই সাক্ষীর কোনো তালিকা আদালতে দেননি।
রিজেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।
ওই মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করে পুলিশ। এরপর গত ৩০ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইরুল ইসলাম।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দায়ের করা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন