বার্ষিক (২০১৯ পঞ্জিকা বছর) আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে নিবন্ধিত সব দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 02 Jul 2020, 03:18 PM
বৃহস্পতিবার ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
বর্তমানে ইসিতে ৪১টি দল নিবন্ধিত রয়েছে।
রৌশন আরা জানান, অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২-এর ৯০-এইচ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত কোনো দল পরপর তিন বছর কমিশনে আর্থিক প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।
“আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দলগুলোর সাধারণ সম্পাদক/ মহাসচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
ইসির উপসচিব আব্দুল হালিম খান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
“এক্ষেত্রে একটি রেজিস্টার্ড চাটার্ড ফার্ম দিয়ে অডিট করতে হবে। প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহর থাকতে হবে।”
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের অডিট রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ে জমা দিয়েছিল নিবন্ধিত ৩৩টি দল। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছিল ছয়টি দল। তারা ইসির কাছে আবেদন করে সময় নিয়ে পরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।