মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ২০১৮ সালে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের যে বিবরণী জমা দিয়েছে দলটি, তাতে গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে।
আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার পর ২০০৮ সালের পর গত বছর সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দেখিয়েছিল বিএনপি। পরে টানা তিন বছর আয় বেশি হয়েছে দলটির।
আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, এবার দলের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এখন পর্যন্ত দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭টাকা।
২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় ছিল ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা; মোট ব্যয় হয় ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে ছিল।
তার আগের বছর দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। এর আগে তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের থেকে ব্যয় বেশি ছিল।
২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। ২০১৪ সালে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বছরে ২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। সে সময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
২০১৮ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে ইতোমধ্যে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।