আয় বেড়েছে জাতীয় পার্টির

টানা কয়েক বছর দশম সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ব্যয় বেশি থাকলেও এবার আয় বেড়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2018, 06:30 PM
Updated : 18 July 2018, 06:30 PM

বুধবার দলটি নির্বাচন কমিশনে ২০১৭ সালের আর্থিক লেনদেনের হিসাব জমা দিয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত আর্থিক বিবরণী জমা দেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

ইসির উপ-সচিব আব্দুল হালিম বরাবর জমা দেওয়া প্রতিবেদনে জাপা মহাসচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী জাপা রেজিস্টার্ড চার্টার্ড একাউন্টিং ফার্ম দিয়ে অডিট করে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের আর্থিক লেনদেনের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় পার্টি ২০১৭ সালে আয় করেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪০ টাকা। এ সময় দলটি ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ টাকা। এক লাখ টাকারও বেশি উদ্বৃত্ত রয়েছে তাদের।

২০১৬ সালে জাপার আয় ছিল ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৩ টাকা। ব্যয় বেশি হয় ৩২ লাখ ২২ হাজার ৮০৩ টাকা।

তার আগের বছর দলটির ৯৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৩ টাকা।

রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৭ সালের আর্থিক লেনদেনের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে ৩৯টি দলকে সম্প্রতি চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।

সর্বশেষ নিবন্ধন বাতিলের তালিকায় থাকা ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের কাছে হিসাব চাওয়া হয়নি। আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল রয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে বাতিল হয় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধনও।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।

সুষ্ঠু  নির্বাচন চায় জাপা

সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আমিন হাওলাদার।

বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারেরসঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

এ সময় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু উপস্থিত ছিলেন।

২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় কুড়িগ্রাম উপনির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে যান জাতীয় পার্টির নেতারা।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “কুড়িগ্রাম-৩ আসন উলিপুর উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্যে বলেছি আমরা। আমরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্তুষ্ট। কুড়িগ্রামের উলিপুর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এবং ইসি যেন সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকে- সেটাই আমরা আশা করছি।”

এ উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্র্টির প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ মতিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।